সর্বশেষঃ

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রচারনা চালিয়ে যেতে চান এম ফারুকুর রহমান

আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী

এম ফারুফুর রহমান। বয়স ৭৭ বছর। বাড়ি ভোলা পৌরসভার কালিবাড়ি রোড এলাকায়। ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত নাজিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল নাজিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে অবসর গ্রহন করেন তিনি। ছিলেন ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি। ফারুকুর রহমান একজন সাংস্কৃতিক সংগঠকও। তবে, ফারুক স্যার নামেই তিনি এলাকায় সর্বাধিক পরিচিত। ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম ফারুকুর রহমান বার্ধক্যজনীত কারনে এখন অধিকাংশ সময় বাসায় কাটালেও থেমে নেই তার জনপ্রিয় সেই স্লোগান “আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী” নিয়ে প্রচারনা। যখন, যেখানে, সময় পাচ্ছেন সেখানেই প্রচারনা চালাচ্ছেন আপনিও বলুন, “আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী”। রোববার (৮ মে) বিশ্ব মা দিবসেও এম ফারুকুর রহমান তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন আপনিও বলুন- আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী।
এ বিষয়ে এম ফারুকুর রহমান এ প্রতিবেদক কে বলেন, ২০০৬ সালের দিকে উত্তর বাংলার একটি সংবাদপত্রে দেখলাম পাষন্ড সন্তান তার মা’কে বেদমভাবে প্রহার করে রাস্তার উপরে ফেলে রেখেছে ! এলাকাবাসি ঐ বৃদ্ধা মা’কে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং দুর্বৃত্ত ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পত্রিকার পরের সংখ্যাটি না পাওয়ার কারণে আমি আর জানতে পারলাম না যে মহিলা বেঁচে আছেন কি নেই! বিষয়টি পড়ে আমি একেবারেই আর আমার মধ্যে ছিলাম না। এতোটাই ব্যথিত হয়েছিলাম। সমস্ত রাত নির্ঘুম কাটিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম “আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী” কথাটিকে একটি স্লোগান হিসাবে প্রচার করবো। কেননা আমার মতো ছা-পোষা দরিদ্র শিক্ষকের পক্ষে বড় আকারের কোন কিছু করা সম্ভব নয়। তাবৎ পৃথিবীর সন্তানেরা আন্তরিকভাবে মন প্রাণ দিয়ে যদি বিশ্বাস করে তাকে যিনি জন্ম দিয়েছেন সেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী। এই জন্য যে কতো কষ্ট ক্লেস কতো লাঞ্ছনা, কতো গঞ্জনা বয়ে গেছে তার উপর দিয়ে তা কেবল তিনিই জানেন।
জগৎ সংসারের প্রতিটি মা’ই ১০ মাস ১০ দিন এই সন্তানকে পেটে ধারন করেছেন এবং জন্মের পর থেকেই অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সন্তানকে বড় করে তুলেছেন। কাজেই সেই মা’ই তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী। ভোলা ও ভোলার বাহিরেও এ প্রচারনাটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমি এই স্লোগানটি ২০০৬ থেকে আজ অবধি প্রচার করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ভোলার ১০৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ভোলা জেলার বাহিরেও বিভিন্ন জেলায় এ প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ প্রচারনা চালিয়ে যাবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।