সর্বশেষঃ

আজ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস : মামলা জট কমাতে আমাদের করণীয়

‘‘বিনা খরচে আইনি সহায়তা-শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আজ ২৮ এপ্রিল ২০২২ পালিত হচ্ছে এ বছরের জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। আর্থিকভাবে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগণকে আইনগত সহায়তা দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম সক্রিয়করণের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের জনকল্যাণমূলক আইনি সেবার বার্তা পৌঁছে দেওয়া ও সরকারি আইনি সেবার বিষয়ে অধিকতর জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৩ সালের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তখন থেকে প্রতি বছর দেশব্যাপী র‌্যালী, লিগ্যাল এইড মেলা, রক্তদান কর্মসূচি, পথনাটক, সভা-সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন করা হচ্ছে।
এবার ভোলা জেলায় ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জানুয়ারি ২০২২ হতে এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত প্রায় প্রতি সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি উপজেলায় গমন করে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলার ৭ টি উপজেলা ও ৭০টি ইউনিয়নে কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এবার ভোলা জেলায় এক উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন করা হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল ২০২২ দিনব্যাপি যে কর্মসূচি পালন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে লিগ্যাল এইড মেলা, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আইনগত সহায়তা বিষয়ক বিশেষ ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, শ্রেষ্ঠ লিগ্যাল এইড উপজেলা চেয়ারম্যান, শ্রেষ্ঠ লিগ্যাল এইড ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, শ্রেষ্ঠ লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী এবং শ্রেষ্ঠ বেসরকারি সংস্থা পুরস্কার প্রদান, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্য থেকে লিগ্যাল এইড বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা প্রবর্তন এবং লিগ্যাল এইড বিষয়ক পথনাটক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।
২০১৪ সালে মন্ত্রী হিসেবে আনিসুল হক এমপি দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব ও সম্প্রসারিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস, চৌকি আদালত বিশেষ কমিটি, শ্রম আদালত বিশেষ কমিটি, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে একজন করে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারককে লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০১৬ সালে আইনমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করা হয়। এ ব্যবস্থাপনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টার। এই হেল্প সেন্টারের টোল ফ্রি নাম্বার হচ্ছে ১৬৪৩০। টিএন্ডটি বা যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে বিনামূল্যে উক্ত নাম্বারে ফোন করেও যে কোনো মানুষ যে কোনো আইনি পরামর্শ পেতে পারেন। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় লিগ্যাল এইড সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয় লিগ্যাল এইড অনলাইন কার্যক্রম।
বর্তমানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এজন্য ২০১৫ সালে “আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” বিধিমালা প্রণয়ন করে লিগ্যাল এইড অফিসারদেরকে এডিআর বা বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষমতাকে আরো কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার লক্ষে ২০১৭ সালে দেওয়ানি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রত্যেক জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে একজন করে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজকে লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা আইনগত সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন।
লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যে সব আইনি সেবা প্রদান করা হয়ঃ (১) যে কোন ব্যক্তি, তার আর্থিক সামর্থ্য যাই হোক না কেন, সরকারি আইনগত সহায়তা কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত আইনগত তথ্য সেবা গ্রহণ, আইনগত পরামর্শ গ্রহণ কিংবা বিবাদমান পক্ষসমূহের মধ্যে আপোষযোগ্য বিরোধসমূহ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সেবাসমূহ ঃ (২) অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা দায়েরের প্রয়োজন হলে সরকারি খরচে মামলা দায়ের ও পরিচালনা করা; (৩) মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ; ৪) আদালত থেকে প্রেরিত মামলাসমূহ মধ্যস্থতা করা; (৫) বিনামূল্যে ওকালতনামা সরবরাহ; (৬) আইনজীবীর ফি পরিশোধ; (৭) মামলার সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক সকল ব্যয় পরিশোধ; (৮) ফৌজদারী মামলার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যয় পরিশোধ; (৯) মধ্যস্থতাকারী বা সালিশকারীর সম্মানী পরিশোধ; (১০) ডিএনএ টেস্টের যাবতীয় ব্যয় পরিশোধ; (১১) বিনামূল্যে রায় কিংবা আদেশের অনুলিপি সরবরাহ।
যারা আইনগত সহায়তা পাবেন ঃ (১) অসচ্ছল বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি যাহার বার্ষিক গড় আয় সুপ্রীম কোর্টে আইনগত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ১,৫০,০০০/- টাকা এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে ১,০০,০০০/- টাকার উর্ধ্বে নয়; (২) কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম, কর্মহীন বা বার্ষিক ১,৫০,০০০/- টাকার উর্ধ্বে আয় করতে অক্ষম এমন মুক্তিযোদ্ধা; (৩) কোন শ্রমিক যার বার্ষিক গড় আয় ১,০০,০০০/- টাকার উর্ধ্বে নয়; (৪) কোন শিশু; (৫) মানব পাচারের শিকার কোন ব্যক্তি; (৬) শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু; (৭) নিরাশ্রয় ব্যক্তি বা ভবঘুরে; (৮) কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের লোক; (৯) পারিবারিক সহিংসতার শিকার অথবা সহিংসতার ঝুঁকিতে আছেন এরূপ যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি; (১০) বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এরূপ কোনো ব্যক্তি; (১১) ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ মাতা; (১২) দুর্বৃত্ত দ্বারা এসিড দগ্ধ নারী বা শিশু; (১৩) আদর্শ গ্রামে গৃহ বা ভূমি বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তি; (১৪) অসচ্ছল বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা এবং দুঃস্থ মহিলা; (১৫) কোন প্রতিবন্ধী; (১৬) আর্থিক অসচ্ছলতার দরুণ আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা বা আত্মপক্ষ সমর্থন করিতে অসমর্থ ব্যক্তি; (১৭) বিনা বিচারে আটক এমন ব্যক্তি যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আর্থিকভাবে অসচ্ছল; (১৮) আদালত কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলে বিবেচিত ব্যক্তি; (১৯) জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল হিসেবে সুপারিশকৃত ব্যক্তি।
কোথা থেকে ও কিভাবে আইনি সেবা পাওয়া যায় ঃ (ক) জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে আইনি সেবা ঃ টোল ফ্রি ১৬৪৩০ নম্বরে যে কোনো মোবাইল/টেলিফোন থেকে ফোন কল করে আইনি পরামর্শসহ মামলা সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়া যায়। এর জন্য কোনো কলচার্জ কাটা যায় না।
(খ) লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আইনি সেবা ঃ জেলা পর্যায়ের মামলা পরিচালনায় আইনগত সহায়তা লাভের জন্য ৬৪টি জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিনামূল্যে সকল প্রকার আইনি সেবা পাওয়া যায়।
(গ) বিডি লিগ্যাল এইড এ্যাপ-এর সহায়তায় সেবাঃ অনলাইনে আইনি সেবা প্রদানের লক্ষে সরকার ২০১৮ সালে বিডি লিগ্যাল এইড অ্যাপ চালু করেছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই এ্যাপটি ডাউনলোড করে যে কেউ অনলাইনে আইনি পরামর্শ পেতে পারেন। এছাড়া director@nlaso.gov.bd ই-মেইল ঠিকানায় এবং bdnlaso ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও বিনামূল্যে সরকারি আইনি সেবা নেওয়া যেতে পারে। বিদেশ থেকে +৮৮০৯১২৩১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে বিনামূল্যে সরকারি আইনি সেবা নেওয়া যাবে।
আইনি সেবার আবেদনপত্র প্রাপ্তির নিয়ম ও স্থান ঃ বিনামূল্যে সংস্থার নির্ধারিত আবেদন ফর্মে আবেদন করতে হয়। এই আবেদনপত্র প্রতিটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইন সহায়তা সেল, চৌকি আদালত প্রাঙ্গন এবং www.nlaso.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
আবেদনপত্র দাখিল করার প্রক্রিয়া ঃ দরখাস্তকারী নিজে বা তার মামলা তদারককারী বা তদবিরকারী সংশ্লিষ্ট জেলার লিগ্যাল এইড অফিসে সরাসরি আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন বা দাখিল করতে পারেন। তাছাড়া কারা কর্তৃপক্ষ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, কমিশনার, সমাজসেবা কর্মকর্তা বা বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তাদের মাধ্যমেও আইনগত সহায়তার আবেদনপত্র লিগ্যাল এইড অফিসে পাঠানো যায়। এক্ষেত্রে আবেদনপত্র জমাদান সহ যে কোন প্রয়োজনে উক্ত অফিসের সহায়ক কর্মকর্তা অথবা অফিস সহকারীর সহযোগিতা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
মামলা জট কমাতে লিগ্যাল এইড অফিসের ভূমিকা ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট প্রায় ৩৮ লক্ষ দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন। এই মামলা জট কমাতে দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন অবধি লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে বিচার বিভাগের কর্মরত বিচারকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার জন। এত স্বল্প সংখ্যক বিচারক দিয়ে দেশে প্রচলিত আইন অনুসারে স্বল্প সময়ের মধ্যে কখনোই বিচার নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে না। যেহেতু লিগ্যাল এইড অফিসারকে আপোষে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সেহেতু সকল দেওয়ানী মোকদ্দমা এবং আপোষযোগ্য ফৌজদারী মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করা গেলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক মামলা জট কমানো সম্ভব হবে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে আমাদের প্রত্যাশা ঃ বর্তমানে মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে যেহেতু ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেহেতু এই অফিসের কর্ম পরিধি আরো বিস্তৃত করা প্রয়োজন। প্রথমতঃ ঢাকায় একটি মহাপরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়তঃ প্রতিটি বিভাগে একজন করে পরিচালকের কার্যালয়, প্রতিটি জেলায় একজন অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, প্রতিটি উপজেলায় একজন উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রতিটি ইউনিয়নে একজন সহকারী পরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। তৃতীয়তঃ আদালত ভবন থেকে সম্পন্ন পৃথক করে কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পরিষদ অবধি পৃথক স্থানে লিগ্যাল এইড কার্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে। চতুর্থতঃ দেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশী-বিদেশী এনজিও গুলোকে লিগ্যাল এইড কার্যালয়ের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করে এই কাজে যুক্ত করা যেতে পারে। পঞ্চমতঃ সকল এনআই এ্যাক্টের মামলা বিচারের আইন পরিবর্তন করে মামলা দায়েরের সময় চেকে প্রদত্ত অর্থের ১০ শতাংশ অর্থ সার্ভিস চার্জ হিসেবে কেটে রেখে এই মামলাগুলো বিচার লিগ্যাল এইড অফিসে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এটি করা হলে লিগ্যাল এইড অফিসের কোনো কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থ সংকট হবে না।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২২ আমাদের নতুন ভাবনাগুলো জাগিয়ে দিয়েছে। আমরা চাই মামলা জট মুক্ত বিদেশী বিনিয়োগ অনুকূল স্বল্প সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তিপূর্ণ একটি পরিবেশ। এদেশে আদালতের বাহিরে লিগ্যাল এইড অফিস হোক মামলা নিষ্পত্তির অন্যতম কেন্দ্র।

মহসিনুল হক
জেলা ও দায়রা জজ, ভোলা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।