লালমোহনে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম, চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় পরিবার

ভোলার লালমোহনে পেট জোড়া লাগানো দুই যমজ ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন মিতু বেগম নামের এক প্রসূতি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লালমোহন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপাচারের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে এ দুই শিশুর জন্ম হয়। এদিকে, শরীরে জোড়া লাগানো যমজ শিশু জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের দেখতে ওই ক্লিনিকে শ’ শ’ মানুষ ভীড় করেন। মিতু বেগম উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মুন্সির হাওলা গ্রামের ফকির বাড়ির রাজমিস্ত্রি বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। শিশু দু’জনের অস্ত্রোপচার করেন সার্জন ডা. মুমতাহিনা হক জিম ও এনেস্থেসিওলজিস্ট ডা. মো. আবু সাফওয়ান।
বিল্লাল হোসেনের বড় ভাই জামাল বলেন, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর প্রসব বেদনা দেখা দিলে গত সোমবার রাতে লালমোহন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অস্ত্রোপাচারের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে দু’জন যমজ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের দুজনকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা বিল্লালের পক্ষে জোগার করা সম্ভব নয়, তাই সরকারি-বেসরকারি সাহায্যের আবেদন জানান জামাল।
জোড়া লাগানো এই দুই শিশুর ব্যাপারে সার্জন ডা. মুমতাহিনা হক জিম বলেন, দুই শিশুই সুস্থ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে দুজনকে আলাদা করা সম্ভব এবং তারা সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে।
অন্যদিকে, খবর পেয়ে বুধবার সকালে লালমোহন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই দুই শিশুকে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানূর রহমান, লালমোহন থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ শাহ। এসময় ওই শিশুদের পরিবারকে চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তাসহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন ইউএনও পল্লব কুমার হাজরা। তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। শিশুদের চিকিৎসা করাতে আরও সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।