বাপ্তায় চাঞ্চল্যকর ডবল মার্ডার মামলার রায় ঘোষণা ॥ ২ জন বেকসুর খালাস

ভোলায় ডাবল মার্ডার মামলায় ২ জনের ফাঁসি, ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান

ভোলার চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মামলার প্রধান আসামী মামুনুর রশিদ মামুন এবং তার সহযোগী মোঃ ফিরোজকে (পলাতক) ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামুনের ছেলে শরীফকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মানুনের অপর ছেলে আরিফ ও স্ত্রী রেহানা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: মুহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেছেন।


স্থানীয় সুত্র এবং মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ভোলা জেলা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোস্তফা স্যারের মৃত্যুর পর পৈত্রিক জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মামুন এবং তার ছোট ভাই মাসুমের সাথে বিরোধ বাঁধে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ১৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাপ্তা ভোটের ঘর এলাকায় তাদের বসত বাড়ির সামনে মামুন ও তার সহযোগী ফিরোজ ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রথমে তার ছোট ভাই মাসুমকে হত্যা করে। এ সময় সংবাদ পেয়ে মাসুমের শ্যালক জাহিদ এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু জাহিদকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


এ ঘটনায় নিহত জাহিদের পিতা এবং অপর নিহত মাসুমের শ্বশুর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ভোলা থানায় ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের পরপরই মামলার প্রধান ২ আসামী মামুন এবং ফিরোজ পালিয়ে যায়। অপর ৩ আসামি মামুনের স্ত্রী রেহানা বেগম, এবং দুই ছেলে শরীফ ও আরিফকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মামলার ১ নম্বর আসামী মামুনকে পাবনা জেলা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। কিন্তু দ্বিতীয় আসামি ফিরোজ এখনো পলাতক রয়েছে। ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন লাভু ও অ্যাডভোকেট স্বপন কৃষ্ণ দে। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট অতিন্দ্র লাভ ব্যানার্জি। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে এবং জামাতাকে হত্যা করেছে। তিনি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া রায় প্রকাশের সময় আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন নিহত জাহিদের মা ও দুই সন্তান। এক প্রতিকৃয়ায় মা জানান, আমরা এ রায়ে খুব খুশি হয়েছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।