লালমোহন দক্ষিণ ফরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

ভোলার লালমোহন দক্ষিণ ফরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত না আসা এবং ঔষধ দিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এ ক্লিনিকের সিএইচসিপি’র বিরুদ্ধে। রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুপুর ১২ টায় ক্লিনিকে তালা ঝুলানো। সিএইচসিপি মোঃ ইমাম হোসেন তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। সোমবার ইমাম হোসেনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি নিয়মিত ক্লিনিকে আসি। রোববার দুপুরে না পাওয়ার কারণে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার ব্যক্তিগত কাজ থাকায় ক্লিনিক বন্ধ করে চলে গেছি। এ প্রতিবেদক আরো ২ দিন ক্লিনিকে গিয়েও তাকে পাননি।
স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, যে দিন ক্লিনিক খোলে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার বেশি কখনো তাকে ক্লিনিকে বসতে দেখা যায়নি। বাসিন্দা মোস্তফা কামাল ও বিল্লাল হোসেন জানান, আমরা প্রায়ই দেখি ১০ টায় ক্লিনিক খোলে এক ঘন্টা থেকে সে চলে যাই। প্রায়ই এমনটা হয়। আবার প্রায়ই তাকে ক্লিনিকে আসতে দেখা যায় না।
ক্লিনিকের সামনে ব্যবসা করে নাম বলতে অনিচ্ছুক তিনি জানান, তিনি দেখছেন অনেকেরই কাছ থেকে ওষুধ দিয়ে টাকা নিতে। কিছু সময় ওষুধ থাকলে না বলে দেয় রোগীদেরকে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক (উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকে সুপারভাইজার) মোঃ ফখরুল আলম জানান, তার বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ পেয়েছি।তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।