সর্বশেষঃ

লালমোহনে কথিত ডাক্তার ডেইজির রাজত্ব

ডেইজি হালদার। ছিলেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। সে পদবী অনুযায়ী কেবল প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের নিয়ম থাকলেও এই ডেইজি হালদার এখন বনে গেছেন এমবিবিএস ডাক্তার। নিজের নামের আগে ডাক্তার লিখতেও বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। গ্রাম-গঞ্জের প্রসূতি রোগীদের কাছে তিনিই একমাত্র ভোলার লালমোহনের গাইনী ডাক্তার হিসেবে ভরসা।
গাইনী রোগে তিনি অভিজ্ঞ হলেও হুট করেই বনে গিছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে। রোগীদের কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে আদায় করছেন গলা কাঁটা ভিজিটও। আবার নিয়মিত দিচ্ছেন টেস্টও। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বর্হিভূত। আবার বিকাল বেলা ওষুধ কম্পানীর প্রতিনিধিরাও নিজেদের ওষুধ লেখাতে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ডেইজির বাসার সামনে। ওষুধ লেখার বিনিময়ে কম্পানীগুলো থেকে নিচ্ছেন উপহারসহ নগদ টাকাও। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ডেইজি হালদারের বিরুদ্ধে।
ডেইজির এমন কর্মকা-ে ক্ষোভ রয়েছে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এমবিবিএস ও গাইনী রোগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাঝেও। এই কথিত ডাক্তার ডেইজি হালদার লালমোহন পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডে তার নিজস্ব অত্যাধুনিক আলিশান বাসার ভিতর রোগী দেখছেন নিয়মিত। বিগত ১৫-২০ বছর ধরেই কথিত ডাক্তার ডেইজির চলছে এ চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম। তার এমন অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে কখনও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডেইজি হালদার বলেন, আমাদের ডাক্তার লেখা নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। এজন্য আমি ডাক্তার লিখছি। এছাড়াও তার রোগীদের টেস্ট দেয়ার বিধান আছে বলে জানান ডেইজি।
কথিত ডাক্তার ডেইজি প্রসঙ্গে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর নিয়ম অনুযায়ী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারগণ কোনোভাবেই নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। এছাড়াও তারা রোগীদের কোনো ধরনের টেস্ট দিতে পারবে না। যদি কেউ এসব কাজ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ডিসি অফিস থেকে যে নির্ধারিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রয়েছে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।