সর্বশেষঃ

ভেস্তে যাচ্ছে কাঙ্খিত অভিযান

ভোলায় ফের কোষ্টগার্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা দাবি

নতুন আঙ্গিকে আবারো কোষ্টগার্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে মেঘনার ভিবিন্ন পয়েন্টের চরঘেরা জেলেদের কাছ থেকে নিচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা। কোষ্টগার্ড মাঝিদের টাকা দিলেই মেঘনার অবৈধ জেলে মৎস শিকারীরা রুপান্তরিত হয় বৈধ হিসেবে। কিছু অসাধু কথিত মাঝি বা সোর্সদের গোপন ইসারায় প্রশাষনের আভিযানিক উদ্দেগ বেশতে যাচ্ছে বলে মনে করেন সাধারণ জেলেরা। এমনি ভাবে কোষ্টগার্ডের মাঝি নাম প্রকাশে চাঁদা দাবির যথেষ্ট অভিযোগ উঠেছে ইলিশার কথিত এক মাঝি ও তাদের নীতি নির্ধারক (সেল্টার দাতা) এক কর্তা বাবুর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি কর্তা বাবুকে মাসোয়ারা দিতে মজু চৌধুরির হাট সাহেবের চর থেকে নেট জালের লিটন মাঝি আসেন ইলিশা ফেরীঘাটে কোলকাতা নামক এক চায়ের দোকানে। কোলকাতার দোকানে বসে বেশ আনন্দে চায়ের আড্ডা হয় কর্তা বাবু, নুরু মাঝি ও মাসোয়ারা দিতে আসা লিটন মাঝি। লিটন মাঝি কর্তা বাবুকে মাসোয়ারা প্রদান করতে চাইলে সে নিজ হাতে গ্রহন না করে একটু কৌশলে তার সহযোগী নুরুর সাথে কথা বলার আদেশ দেন লিটন মাঝিকে।
ওই দোকানে বসেই লিটন মাঝিকে সেল্টার দাতা বাবু বলেন, তোমার সাহেবের চরে কটা নেট বসে, ওরা খুব খারাপ যোগাযোগ করেনা। লিটন মাঝি বলেন, দাদা আমি সাহেবের চরের নেট জালের মাঝি ফোন নম্বর সংগ্রহ করে দিবো। তখন বাবু জানান দরকার হবেনা, একবার কয়েকটা নিয়ে আসলে তারপরে গুছ হয়ে যাবে।
লিটন মাঝি মাসোয়ারা দিতে আসার কারণে হয়তো কর্তাবাবু বলেন, নুরুর সাথে ভালো করে কথা বলে গেলে আমরা ওদিকে যাবার আগে তোমাকে বলবো, তুমি নিজের নেটজাল সারাইয়া রাখতে হবে। ভালো করে কথা বলার আদেশ কি তাহলো মাসোয়ারা একটু বাড়তি দেয়ার ইঙ্গিত করলেন কর্তা বাবু ?
দাদা বাবু কৌশল এঁটে লিটন মাঝিকে বলেন, তোমার সাবার ব্যতিত সব কটা নেটজাল তুলে নিয়ে আসতে হবে সবাইকে বলে দিও। দাদা বাবুকে তখন লক্ষ্মীপুর বেরাইতে যাবার জন্য দাওয়াত ও করেন লিটন মাঝি। দাদু বলেন, না যাবার সময় নাই। এখন কাজের খুব চাপ, এখন ডেলি টিম হবে কারো দরকার থাকলে নিজেই আসবে। যাকগে, আমরা আসার আগে তুমি জানতে পারবে বলে জানান ঐ নিতিনির্ধারক দাদাবাবু।
এক পর্যায়ে নিতিনির্ধারক কর্তা বাবু নাম প্রকাশ না করে বলেন, আজ সকালে আমাকে একজন চা খাওয়ার জন্য জোড় করে ২০০০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দিলো রাখতে চাইনি, তবে তাকে বলেছি আমি বাবু বছরে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা যাকাত দেই কথাটা মনে রাইখো। তবে কি কর্তা বাবু ঐ ব্যক্তিকে মাসোয়ারা বাড়তির ইঙ্গিত প্রদান করলেন ?
চায়ের আড্ডা বা মাসোয়ারা গ্রহনের বৈঠক যাই হোকনা কেন এরই ফাকে কর্তাবাবু লিটনকে বলেন, আমি বেটা দুই চার হাজার খাইনা, আমার সাথে কাজ করবি বড় বড়। ৫০০০০ পিচ ইয়াবা ধরলে ৫০০০ পিচ দিয়ে চালান দিবে কোষ্টগার্ড আর ৪৫০০০ আমি সিস্টেমে ফাইল করে নিবো।
কোষ্টগার্ডের কথিত আরেক মাঝি মুঠোফোনে জেলেদের কাছে মাসোয়ারা দাবি করেন খুব সু-কৌশলে। ওখানে শুনা যায় বেটা তুমি কয়টা টাকা পাঠালে আমি আসতাম লক্ষ্মীপুর, এখন খুব অভাবে আছি পারলে কিছু টাকা দিস আমি আসবো।
এদিকে এই কোষ্টগার্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেয়ার অপরাধের মামলায় জেল খেটে আসা ব্যক্তিও ইলিশায় ফের কোষ্টগার্ডের মাঝি পরিচয় প্রদান করে। একবছর পুর্বে তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে ঐ ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ভোলা কোষ্টগার্ডের একটি বিশেষ টিম। প্রশাসনের নাম বিক্রি করে অসৎ উপায় অবলম্বনের দ্বায়ে জেল হাজতে থাকলেও বাকিরা রয়েছিল তখন অধরা। অসাধু ব্যক্তি জামিনে এসে তারা এখন আবার একত্রে সু-কৌশলে চষে বেড়ান মাসোয়ারা আদায়ের মাঠ।
ইলিশা ঘাটে একাধিক অসাধু ব্যাক্তি প্রশাসনের নাম বিক্রি করে অর্থ আদায়ের দ্বায়ে একাধিকবার কারাবাস করার পরেও আবার ফিরে আসেন একই পেশায় এমন তথ্য রয়েছে বেশ। ইলিশা ঘাটে বসে কর্তা বাবু ও তার সহযোগী কথিত মাঝিরা ভিবিন্ন কন্টিনজেন্টের মাঝি নিয়োগ দেন, ছাটাই করেন, এমন প্রচার প্রকাশও করেন। জন সম্মুখে এমন অপপ্রচার প্রকাশ স্বনামধন্য কোষ্টগার্ড বাহীনির ভাবমূর্তি নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে।
কোলকাতার এ চা দোকানে বসে কর্তাবাবু লিটন মাঝিকে বলেন, তুমি কয়েকটা এভিডেন্স তৈরি করে দিও আমাকে। লিটন মাঝি এভিডেন্স কথাটা না বুঝলে কর্তাবাবু বুঝিয়ে বলেন কল রেকর্ড। লিটন বলেন, আঁই ইঢা কোনাই পামু ? বাবু বলেন, নুরু এইতেরে ইট্টু বুঝাই ক তো। প্রশাসনের সোর্স বা মাঝি পরিচয়ে জনসম্মুখে এসব অপকৌশল করে নিযুক্ত মাঝিদের ছাটাই করানোর অপচেষ্টা করে মাঝি নিয়োগ বাণিজ্যের কৌশল আঁটা হতে পারে প্রশাসনের ভাবমুর্তি নষ্টকরার অপচেষ্টা।
এ বিষয়ে কর্তা বাবু ও নুরু মাঝি’র কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে এ বিষয়ে কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের এক অফিসার জানান, ইলিশায় আমাদের নিয়মিত নিযুক্ত কোন মাঝি নেই। আমাদের মাঝি প্রকাশে কোন অর্থ উপার্জন করেছে এমন সুনির্দিষ্ট প্রমান কারো বিরুদ্ধে পেলে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।