দুই হাজার একশত হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক

মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদ কেঁড়ে নিল শত শত কৃষকের স্বপ্ন

ভোলার মনপুরা উপকূলে ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদের প্রভাবে হঠাৎ ভারী বর্ষণে বৃষ্টির পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিগন্ত জোড়া ফসলের ক্ষেত। কোন কৃষকের জমিতে রয়েছে পাকা আমন ধান, কোন কৃষকের জমিতে রয়েছে খেসারি ডাল, শাক-সবজি, সরিষা, গম ও গোল আলু। ফসলও ভালো হয়েছে। কৃষক স্বপ্ন বুনে ফসল বিক্রি করে ধার-দেনা শোধ করবে। কিন্তু সেই স্বপ্নে হানা দেয় অসময়ের ভারী বর্ষণ। নষ্ট হয়ে যায় ফসলের ক্ষেত। যেন ঘূর্ণীঝড়ে কেঁড়ে নিল ক্ষতিগ্রস্ত শত শত কৃষকের লালিত স্বপ্ন। এতে ধার-দেনা ও ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে চাষাবাদ করা শত শত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এদিকে সোমবার ভোর রাত থেকে ভারী বর্ষণে বৃষ্টির পানিতে ডুবে দুই হাজার একশত পাঁচ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।


কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণে জমিতে বৃষ্টির পানি জমে পাকা আমন ধান ২ হাজার হেক্টর, খেসারি ডাল ৫০ হেক্টর, শাক-সবজি ৫০ হেক্টর, গোল আলু ২ হেক্টর, গম ১ হেক্টর ও সরিষা ২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, দেরীতে রোপন করা পাকা আমান ধানের ক্ষেতের ফসল বৃষ্টির পানিতে ডুবে রয়েছে। একই অবস্থা গোল আলু, সরিষা, গম, খেসারি ডাল, শাক-সবজির ক্ষেত। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জামাল, মামুন, আলমগীর, খোরশেদ, রতন, শানু, রাসেদ, খালেক সহ অনেকে জানান, তারা ধার-দেনা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছি। মাঠে ফসলও ভালো হয়। এবার মাঠে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে সকল ধার দেনা পরিশোধ করে ফের মাঠে ফসল উৎপাদন করবে বলে স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সব শেষ হয়ে যায় বলে কেঁদে দেন অনেকে। অনেকে ঋণ পরিশোধের চিন্তা করেন। তবে তারা সরকারের কাছে কৃষি প্রণোদনা দাবী করেন।


এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, বৃষ্টির পানিতে দুই হাজার একশত পাঁচ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্মকতাদের অবহিত করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার প্রণোদনা দিলে দেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।