সর্বশেষঃ

ভোলা সদর হাসপাতালে স্টোর রুম নেই!

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার ১৮ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার আশ্রয়স্থল সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। ভোলা জেলা সদর উপজেলা ছাড়াও বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় ওই সব উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে আসতে হয় ভোলা সদর হাসপাতালে। যদিও এ হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও মাত্র ৫০ শয্যার জনবল কাঠামো দিয়েই চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ২৫০ শয্যার ভোলা সদর হাসপাতালে নেই কোন স্টোর রুম। এতে করে হাসপাতালের কোটি কোটি টাকার নতুন ও পুরনো মালামাল সযত্নে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। স্টোর রুম না থাকায় হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল কখনো হাসপাতালের ভবনের দোতলায় উঠার সিঁড়ির পাশে, কখনো ছাদে, কখনো রোগীর কেবিনে, আবার কখনো বাহিরে রাখা হচ্ছে অরক্ষিত, অবহেলায়। ফলে বছরের পর বছর অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের কোটি কোটি টাকার এসব মালামাল।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল হাসপাতালের দোতলায় উঠার সিঁড়ির পাশে রাখায় অনেক তাদের দোতলায় উঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে। স্টোর রুম না থাকায় হাসপাতালের পরিত্যক্ত কিছু মালামাল রেখে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের পেছনে ময়লার ডাষ্টবিনের পাশে। যেখানে ছিল হাসপাতালের পুরনো বেড, চেয়ার, টেবিল, বিছানা, লেপ-তোষক ইত্যাদি। গত মঙ্গলবার দুপুরে কে বা কারা হাসপাতালের পেছনে ময়লার ডাষ্টবিনে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখান থেকে আগুন লেগে ময়লার ডাষ্টবিনের পাশে অরক্ষিত অবস্থায় রাখা হাসপাতালের পরিত্যক্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে, সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ভোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ সুমন।

এ বিষয়ে ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোলা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আজ পর্যন্ত এ হাসপাতালে কোন স্টোর রুম নেই। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, এ হাসপাতালে কোন স্টোর রুম না থাকায় হাসপাতালের নতুন ও পুরনো বহু মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বহুবার উর্ধ্বতন কর্মকতাদের জানানো হলেও কোন কাজ হচ্ছে না বলেও জানান হাসপাতালের এ কর্মকর্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।