সর্বশেষঃ

ভোলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ শালিশ শেষে হামলা আহত-৩

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের দুইপক্ষ শালিশ শেষে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাদী পক্ষের হামলায় জহিরুল ইসলাম সরদার, মোঃ সিয়াব ও জিয়াউর রহমান আহত হয়। এদের মধ্যে জহিরুল সরদার ও সিয়াব গুরুত্বর আহত হয়। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মিঝি বাজার সংলগ্মের সফি সরদারের সাথে তার ভাই জহিরুল ইসলাম সরদারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ এই মর্মে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ইলিশা ফাঁড়ির এ এস আই মাইনুল হোসেন দুই পক্ষ কে ডেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বাদী বিবাদীর সম্মতিতে ফাঁড়ির মধ্যে ফয়সালা দেওয়ার জন্য বসেন।
সেখানে দুই পক্ষের কথা শুনে এবং কাগজপত্র দেখে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একটি সমাধান করে দিলে উভয় মেনে যায় এবং শালিশদাররা সমাপ্ত করে মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে ডুকলে এই সুযোগে ফাঁড়ির সামনে চায়ের দোকানের মধ্যে দুই পক্ষের তর্কবিতর্ক হয়।
এক পর্যায়ে বাদী পক্ষের সজিব (দুলাল), মানিক সরদার,কালু সরদার,সফি সরদার,সজিব,রাফাইন (বাদশা),সবুজ সরদার,রাকিব সরদারসহ ১০/১২ জনে বিবাদী পক্ষের জহিরুল ইসলাম সরদার, সিয়াব ও জিয়াউর রহমান কে পিটিয়ে আহত করেন।
এর মধ্যে সিয়ামের মাথা ফেটে যায় এবং জহিরুল ইসলাম সরদারের চোখে ও মাথায় আঘাত লাগে পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বর্তমানে আহতরা সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে এখনো চিকিৎসাধীন।

আহত সিয়াব উদ্দিন বলেন পিটিয়ে আমাদের জমির কাগজপত্র ও দুইটি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় তারা।
এদিকে ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ফাঁড়ি থেকে পুলিশ এসে মানিক সরদার নামে একজন কে আটক করেন পরে স্থানীয় হারুন ও ভুট্রু সরদারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যাইনি।
ইলিশা ফাঁড়ির এ এস আই মাইনুল হোসেন বলেন, ফয়সালা শেষে আমরা নামাজ পড়তে গেলে ফাঁড়ির বাহিরে এই ঘটনা ঘটে।
তবে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।