সর্বশেষঃ

দৌলতখান ইউপি নির্বাচন:আটক,জাল ভোট,প্রার্থীকে জরিমানা

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী ভোটাররা কেন্দ্রগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। ভোলা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর, উত্তর জয়নগর, চর খলিফা, চরপাতা, মেদুয়া, ভবানীপুর ও মদনপুর ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৭টি ইউনিয়নে ২৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৬ জন। তবে চর খলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামিম হোসেন অমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থীকে জরিমানাঃ

নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করে সঙ্গীসহ মোবাইল ফোন নিয়ে ভবানীপুর ইউনিয়নের ৫৭ নম্বর দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করার অভিযোগে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) আব্দুল মান্নানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এ জরিমানা আদায় করেন। ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এমএ তাহের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জাল ভোট, যুবক আটকঃ

দৌলতখান উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে রাকিব (২৪) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালীন সময়ে উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২১ নম্বর উত্তর-পূর্ব মধ্য জয়নগর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। রাকিব ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।   কেন্দ্রটির দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মাকসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৫০ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।

ভোট দিতে পারেন নি নারী ভোটারঃ

সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন নি দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কহিনুর বেগম (২৫)। তিনি বলেন, উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শেখ রাসেল মেমোরিয়াল বিদ্যালয় অ্যান্ড বঙ্গবন্ধু কলেজের ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে দুপুর ১ টার সময় বুথে গেছি ভোট দিতে। তখন স্যার বলছে, আমি রাইট আছি, আমার ছবি-নাম-ঠিকানা সব ঠিক আছে। কিন্তু আমার ভোট অন্য একজন দিয়ে দিছে। তিনি আরও বলেন, গত বছর বাড়িত থাইকাই হুনছি মাইনসের ভোট নাকি দিয়া দেয়। কেন্দ্রে যাওন লাগে না। এইবার আইছিলাম ভোট দিতে তাও পারলাম না।’ ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে হতাশ ওই নারী ভোটার ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম মাওলা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে আসছি। আমরা কেউই এই এলাকার নই। কেউ জাল ভোট দিলে আমাদের চিহ্নিত করার সুযোগ নেই। এটা প্রার্থীর এজেন্টরা চিহ্নিত করে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষ মাত্র ভুল হয়। এটা ভুলবশত আরেকজনের নামের ওপরে টিক চিহ্ন পড়েছে। পোলিং অফিসার ও প্রার্থীর এজেন্টদের ভুলের কারণে এমনটা ঘটতে পারে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।