সর্বশেষঃ

ভোলা-ঢাকা নৌ-রুট:গ্লোরী অব শ্রীনগর লঞ্চের কেবিন থেকে যাত্রীর টাকা ও স্বর্নালঙ্কারসহ মালামাল চুরি

ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গ্লোরী অব শ্রীনগর লঞ্চের কেবিন থেকে যাত্রীর নগদ প্রায় টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্নালঙ্কারসহ মালামাল চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা সদরঘাটে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার নাজিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান। তিনি জানান, তার অসুস্থ বড় ছেলে সোহেল মাহমুদের চিকিৎসা শেষে তাকে, ছোট ছেলে রোমেল মাহমুদ ও স্ত্রীকে নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গ্লোরী অব শ্রীনগর লঞ্চের একটি ভিআইপি-২ ও একটি সিঙ্গেল কেবিনে উঠেন। লঞ্চটি সদরঘাট থেকে ছাড়ার আগ মুহূর্তে রাত প্রায় সাড়ে ৭টার দিকে তাদের সিঙ্গেল কেবিনটি তার ছোট ছেলে রোমেল মাহমুদ তালাবদ্ধ করে ভিআইপি কেবিনে তার অসুস্থ ভাইকে দেখতে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে সিঙ্গেল কেবিনে এসে দেখতে পায় কেবিনের লেপতোশক তছনছ করা। এম ফারুকুর রহমান বলেন, কেবিনে রাখা আমার একটি দীর্ঘ দিনের পুরনো একটি ব্রিফকেচ ও স্ত্রীর ভেনিটি ব্যাগ (হাত ব্যাগ) চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাওয়া ওই হাত ব্যাগে সাড়ে ৪ ভরি ওজনের একটি স্বর্নের হার, একটি হীরার আংটিসহ প্রায় ১৫ ভরি স্বর্নালঙ্কার এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা ছিল বলেও জানান এম ফারুকুর রহমান। বিষয়টি লঞ্চের একজন কেরানীকে জানালেও তিনি কোর্নপাত না করে উল্টো বলেন, লঞ্চের মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখা উচিৎ।

এ ঘটনা সদরঘাট নৌ-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে উল্লেখ করে সদরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোঃ কাইয়ুম আলী সরদার বলেন, আমরা খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার রাত থেকেই গ্লোরী অব শ্রীনগর লঞ্চে তদন্ত শুরু করেছি। নৌপুলিশ কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে সেটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গ্লোরী অব শ্রীনগরের কেরানী মোঃ তামিম বলেন, ঘটনার পর পরই ঢাকা সদর ঘাটে নৌ পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে নৌ পুলিশ লঞ্চ থেকে নামার পর সোমবার রাত ৯ টার দিকে লঞ্চটি ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার ভোরে ভোলা খেয়াঘাটে এসে পৌঁছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।