ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায়

মনপুরায় ছাত্রদল নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিল ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ’লীগ নেতা

ভোলার মনপুরায় ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজকে মারধরের ঘটনার অভিযোগে পুলিশ ছাত্রদল নেতা মনিরকে আটক করে। গত বুধবার দুপুরে পুলিশ আটকের পরই ওই ছাত্রদল নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির শুরু করেন হাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরাজী ও উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আবুয়াল হোসেন আবু মেম্বার। পরে বৃহস্পতিবার স্থানীয়ভাবে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করবেন বলে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাত্রদল নেতাকে ছাড়িয়ে নেন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে শালিসী বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি বলে নিশ্চিত করেন মারধরে শিকার ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ। শুক্রবার এই ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা ছাত্রলীগ,আ’লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
ঘটনা সূত্রে ও মারধরে শিকার ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ জানান, তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি ভাড়ায় চালিত হোন্ডা চালায়। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বাঁধেরহাট এলাকায় হোন্ডাযোগে আসলে ছাত্রদল নেতা মনির, মন্নান, করিম ও আরিফ হামলা করে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সদ্য নির্বাচন হওয়া হাজীরহাট ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী ছাত্রদল নেতারা আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের আনারস মার্কার পক্ষে নির্বাচন করেছেন। ঘটনার পরদিন বুধবার সকালে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজের পিতা মোঃ ফারুক বাদী হয়ে থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ ছাত্রদল নেতা মনিরকে আটক করে। পরে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করবেন বলে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাত্রদল নেতাকে ছাড়িয়ে নেন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতা।
এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন সাগর জানান, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন অহরহ মারধরের শিকার হচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই শালিসী বৈঠকে উপস্থিত হওয়া উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজকে মারধরের ঘটনায় শালিসী বৈঠক সমাধান ছাড়াই শেষ হয়।
এ ব্যাপারে ঘটনাটির তদন্তে দায়িত্বে থাকা মনপুরা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) লুৎফুর রহমান জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মনির নামে একজন আটক করা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধারন করবেন বলে মুচলেকা দিলে আটককৃত মনিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।