জন্মসনদ জটিলতা

দৌলতখানে আটকে আছে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি

(প্রতিকী ছবি)

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় সার্ভার জটিলতায় জন্ম-সনদ প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় আটকে আছে ৩ হাজার ৫শ’ ৩৩জন শিক্ষার্থীর উপ-বৃত্তি কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের ভর্তিতেও জন্ম-সনদ বাধ্যতামূলক করায় অভিভাবকদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।
দৌলতখান উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, দৌলতখান উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০৬টি। প্রাথমকি শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১৯ হাজার ৪৪জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৩হাজার ৫শ’ ৩৩জন শিক্ষার্থী এখনো জন্মসনদ জমা দিতে না পারায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
দৌলতখানের কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম সনদ নিতে আসা টিউ অধিকারি, রিপা আক্তার, মোঃ রিয়াদ নামে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তাদের সন্তান সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করে। শিক্ষকরা উপবৃত্তি’র জন্য স্কুলে জন্মনিবন্ধন জমা দিতে বলেছেন। কয়েকদিন ধরে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও সঠিক সময় জন্মনিবন্ধন পাননি। এতে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে অভিভাবকদের। এমনকি স্কুলে ভর্তিতেও জন্মসনদে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অরুন জানান, কিছুদিন আগে জন্মসনদ নিবন্ধন সার্ভারে সমস্যার কারণে এ জটিলতা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে যতজন জন্ম নিবন্ধন নেয়ার জন্য এসেছে আমরা সবাইকে দেয়ার জন্য চেষ্ট করেছি। তবে এবার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে হলে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে এসেছে। তবে মা-বাবা’র জন্মসনদ না থাকায় অনেক অভিভাবক বিপাকে পরেছেন।
দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহিবুর রহমান জানান, অনেক অভিভাবক এখনো তাদের সন্তানের জন্ম-সনদ দিতে পারেনি। তাই তাদের স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার জন্ম নিবন্ধনে নতুন নিয়ম করা হয়েছে অভিভাবকদের জন্মসনদ না থাকলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা যাবেনা। এতে অনেক অভিভাবকই বিপাকে পরেছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হোসেন জানান, জন্ম সনদের কারণে দৌলতখানে প্রাথমিকের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তবে তিনি এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।