চরফ্যাশনে মেম্বার প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেতে হুমকীর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

ভোলার চরফ্যাশনের চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর জন্য হুমকী-ধামকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবদুল কাদের এবং তার লোকজন এই হুমকী দিয়েছেন বলে গেছে। প্রার্থীকে হুমকীর প্রতিকার চেয়ে তার অনুুসারী কর্মী সমর্থকরা গতকাল শনিবার বিকেলে চরফ্যাসন পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র মোঃ মোর্শেদ মিয়ার শরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং এলকায় ভোটারদের মনোনিত প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সাধারন ভোটার ও কর্মী সমর্থকরা বিক্ষেভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ এপ্রিল চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রগন করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এখন মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা প্রদান চলছে। চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে আবদুল কাদের এবং রফিকুল ইসলাম রুহুল আমীন মনোনয়ন পত্র গ্রহন করেছেন। মনোনয়নপত্র গ্রহন করার পর থেকে আবদুল কাদের এবং তার লোকজন প্রতিপক্ষ প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রুহুল আমীনকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর জন্য হুমকী ধামকী দিতে শুরু করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় ভোটারদের মধ্যে তীব্রক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত শনিবার বিকেলে ০৯ নং ওয়ার্ড থেকে রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনের ৫ শতাধিক অনুসারী চরফ্যাশন পৌর মেয়র মো. মোর্শেদ মিয়ার শরনাপন্ন হয়েছেন। সন্ধ্যায় পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ বিষয়টিকে সুরাহা করে সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এবং সকল প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য বলেছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, রুহুল আমিন নির্বাচনের প্রস্ততি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিজ উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দৃশ্যমান অবদান রেখেছেন। গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণ করেছেন। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ভালোমন্দে পাশে থেকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণীত হয়ে প্রতিপক্ষ তাকে নির্বাচন থেকে সড়িয়ে দিয়ে ফাঁকা মাঠে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে সাধারন ভোটাররা ক্ষুদ্ধ, উত্তেজিত।
এ ব্যাপরে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবদুল কাদেরের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায় নি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, জোর করে কোন প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা গুরুতর অপরাধ। ওই ওয়ার্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।