ভোলার দৌলতখানে অধ্যক্ষ কর্তৃক সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত

ভোলার দৌলতখান জয়নাল আবেদীন আলিম মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুল্লাহকে দফায় দফায় লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে একই মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিমের বিরুদ্ধে। মঙ্গল ও বুধবার ওই মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কলাকোপা গ্রামে ওই মাদরাসা অবস্থিত। এঘটনায় শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হোসেন-এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

শিক্ষক হাবিবুল্লাহ জানান, মঙ্গলবার সকালে মাদরাসার অফিস কক্ষে আসি। পড়ে মদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিমকে কক্ষে দেখে সালাম দিয়ে চলে আসি। এরপর অধ্যক্ষ তাকে ডেকে এনে গালমন্দ ও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন। বুধবার সকাল ১০ টায় মাদরাসায় আসলে পুনরায় অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিম তাকে গালমন্দ ও মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক প্রতিনিধি ও সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মহসিন এগিয়ে এসে সমাধানের চেষ্টা করলে তাকেও আহত করে। কেন আপনাকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেছে? এমন প্রশ্নে শিক্ষক হাবিবুল্লাহ জানান, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিম প্রায় বিধিবহির্ভূতভাবে মাদরাসার শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবী করতো। চাঁদা দাবীর বিষয়ে সে প্রতিবাদ করতো। তারই জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিক্ষক প্রতিনিধি ও সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মহসিন জানান, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিম মাদরাসার সকল শিক্ষকদের সাথে অসৎ আচরণ করতো। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। সমাজে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিক্ষবে। কিন্তু অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিমের এরকম আচরণ অতিষ্ঠ তারা। তাই অধ্যক্ষের পদত্যাগ করার দাবী জানান শিক্ষকরা।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জসিমের কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভাব হয়নি।

মাদরাসার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ মুকু খাঁন জানান, সকালে ইউএনও অফিসে মিটিংয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি জানতে পেরেছি। কালকে সরেজমিনে যাবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওছার হোসেন জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।