ভোলার লঞ্চ মালিকরা জন্ম থেকে পানিতে ভেসে চলা মানুষদের মুরগী বানিয়ে ব্যবসা চালিয়েছেন। সন্ধ্যার আগে মুরগি খোপে ডুকানোর মত গাদাগাদি করে মানুষদের লঞ্চে ঢুকাতেন। পরদিন সকালে ঢাকার সদর ঘাটে নিয়ে মুরগির খোপের দরজা খুলতেন। অসহায় ভোলা বাসিদের রোটেশনের যাতাকল বসানো এই লঞ্চ মালিকদের কবল থেকে কোন প্রকার নিঃষ্কৃতি দানকারী গ্রীন লাইন ও এ্যাডভেঞ্চার মালিকদের উপর চটেছেন ওই রক্তচোষা ওয়াটার লর্ডরা।কারনে অকারণে ঘাটে দাড়িয়ে থাকা লঞ্চের উপর আঘাত করে যাচ্ছেন তাদের লঞ্চ দিয়ে। ফেরী ঘাটের পন্টুনে যাত্রী ভর্তি গ্রীন লাইনে এর আগে কয়েকবার আঘাত করলেও ২১ সেপ্টেম্বর এর তালতলি ঘাটের আঘাতটি ছিলো ভয়াবহ।

ওই দিন কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চের ধাক্কায় এম.ভি গ্রীন লাইন-২ লঞ্চে ফাটল ধরেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে তুলাতলি ঘাটে নোঙর করে গ্রীন লাইন। নোঙর করার কিছুক্ষণ পর কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চটি র পাশ থেকে গ্রীন লাইনকে ধাক্কা দেয়। এতে গ্রীন লাইনের সামনের অংশের তলায় ফাটল ধরে।
হোসেন নামে গ্রীন লাইনে থাকা এক যাত্রী বলেন, আমার সাথে রোগী ছিলো। কর্ণফুলী লঞ্চ ধাক্কা দেয়ার পর আমাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ কোন সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে যে কোন সময় নাসরিন ট্র্যাজেডির মত ঘটনা পুনরায় ঘটতে পারে।
গ্রীন লাইনের তত্ত্বাবধায়ক তরিকুল ইসলাম রনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে কর্ণফুলী -১৪ আমাদের জাহাজে ধাক্কা দিয়েছে। এর আগেও কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে কর্ণফুলী-১৪ সুপারভাইজার আলাউদ্দিনের দাবি, বাতাসের কারনে এ ঘটনা ঘটছে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, বাতাসের কারণে ঘটছে নাকি ধাক্কা লেগেছে সেটা তদন্তের পর জানা যাবে।

এদিকে ইলিশা ঘাটে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকলেও ভোলার জেলা প্রশাসন চুপ রয়েছেন।

যাত্রীরা বলেন, আবারো রোটেশন করে ভোলার যাত্রীদের জিম্মি করার পায়তারা করছে লঞ্চ মালিক ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কর্ণফুলী আর গ্রীণ লাইনের আলাদা পল্টন না দিলে যে কোন মুহুর্ত্বে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।