শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন)

(গত সংখ্যার পর) : কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে খাত্য নেই, বস্ত্র নেই, ঔষধ নেই, পথ্য নেই। রোগের চিকিৎসা নেই। দেশে হাহাকার। হাজার হাজার লোক না খেয়ৈ মারা যাচ্ছে। আমেরিকার সাহায্যও আর এসে পৌছাল না। আমেরিকার বিশ্বাসঘাতকতা বাংলাদেশকে এক চরম ছলনার প্রয়সে ফেলল। ভেঙ্গে পড়লেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।

তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট। তার দেশের লোক খেতে পাচ্ছে না। কঙ্কালসার হয়ে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে, উলঙ্গ হয়ে যেখানে সেখানে পড়ে থাকছে উদ্দেশ্যকারীরা, ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে লুটে পুটে খাচ্ছে। তিনি চিন্তায় ক্লান্তিতে শ্রান্তিতে রাত্রি যাপন করেননি। বাংলার পথে প্রান্তরে, সাধারণ লোকের দুয়োনে তিনি দেশের সুখ, শান্তির জন্য সেনার বাংলার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাংলার সুখ, বাংলার শান্তি, তার জীবনের একমাত্র কাম্য ছিল।

তার স্ত্রী একখানা পরিস্কার লাল পেড়ে অথবা কালো পেড়ে শাড়ী পড়েই খুশি থাকতেন। সাধারণ ছিল তাদের বাড়ীর খাওয়া-দাওয়া, চলা-ফেরা। পোলও, কোরমা, জরদা, ফিরনি, কাবাব, চপ কাটলেটের গল্প তাদের ‍মুখে শুনিনি। সাধারণ বাঙ্গালী বৌ-ঝিদের মত ছিল তাদের জীবন যাত্রার প্রনালী।

অথচ শেখ কামালের বিয়ের পর দেশে একটা সাড়া পড়ে গেল, বঙ্গবন্ধু ছেলের বউয়ের মাথায় সোনার মুকুট। সাড়া গায়ে সোনার গহনা। অথচ আমরা দেখি সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের বৌ-ঝিদের বিয়েতে  বা বৌ-ভাতে গা ভর্তি গহনা। মাথায় প্রায়ই দেখি সোনার জড়োয়া সেটিং মুকুট। লালবাগ, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, ইন্দিরা রোড, ক্যান্টনমেন্ট প্রায় সব জায়গায় দেখি মেয়ের বা বৌয়ের গা ভর্তি গহনা ও মাথায় মুকুট। বাবা, মা, শ্বশুর, শ্বাশুরিরা, আদর করে অনেক সময় সাধ্যমত বা সাধ্যের বাইরেও দিয়ে থাকেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বা তার ভাই-বোনেরা যদি আদর করে তাদের পুত্র বধুকে দিয়ে থাকেন তবে তা নিয়ে দেশে-বিদেশে এক রণডঙ্কা বাজিয়ে উলধ্বনি করে দেশের লাভ কি হল ? জানি না। শেখ মুজিবের মুখেই শুনেছি এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। তোমাদের যার যা কিছু আছে শত্রুর সাথে মোকাবিলা করার জন্য এগিয়ে যাও শেখ মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ হত না। তার মুখেই শুনেছি ৬ দফা আন্দোলনের কথা। কালই বাংলার ভাগ্য নির্ণয় করল।

(চলবে—————)।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।