শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব


ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন)

জীবনে চলার পথে কত লোকের সান্নিধ্য লাভ করেছি, কত লোক দেখেছি, কত আভিজাত্যের বড়াই দেখেছি, কত প্রসাদসম অট্টালিকা দেখেছি, আজ সে রাজা, কাল তাকে পথের ফকির হতে দেখেছি, কাল যে ফকির, আজ তাকে রাজা হতে দেখেছি।
পৃথিবীর এই নাট্যমঞ্চে, রঙ্গমঞ্চে দেখেছি অদ্ভুত রাজনীতির লীলাখেলার অভিনয়। কৃষক কূলের গৌরব, বরিশালের সুযোগ্য সন্তান শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, সারা ভারতবর্ষের বাংলার বাঘ, কৃষককূলের হৃদয়কাড়া নাম আমাদের হক সাব, মাওলানা ভাসানী, এদের কথা মনে হলে শ্রদ্ধায় হৃদয় আপ্লুত হয়।
তারপর আর কারো কথা আমার স্মৃতির পটে উদয় হয় না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছাড়া। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সুকঠিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু এমেরিকার সাহায্য আসি আসি করেও এসে পৌঁছেনি বলে তাত আওয়ামীলীগ সরকারের বুকে এক চরম আঘাত হানলো।
এমনি এক অরাজক পরিস্থিতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করলো। হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাতির, স্বাধীনতা বিপক্ষ শক্তির হাতে চলে যায়। পরিনামে দেশের বীরশ্রেষ্ঠ সন্তানরা, মুক্তিযোদ্ধারা হয় অবহেলিত আর স্বাধীনতা বিরোধী লোকেরা হয় এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা, আপামর জনসাধারণ আবার প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে।
ইতিহাসের পৃষ্ঠা উল্টালে রাজনীতি সাক্ষ্য দেয় সামরিক শাসন। স্বাধীন দেশের স্বাধীন রাজনীতির মুমূর্ষ সামরিক কু-র মাড়াই কলে আর ভোট আন্দোলনের গণজাগরণ মানুষের জীবন দানের লাগাতার ইতিহাস একই খাতে বইছে।
বার বার বদল হয়েছে সিংহাসনের মানুষ। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যবদল হয়নি। দেশ ভেঙ্গে দেশ, দেশ লড়ে দেশ, এই রাজনীতির। ন্যায্য অন্যায্য চরাই উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই বাংলাদেশ, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। (চলবে——-)।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।