সর্বশেষঃ

সুন্দরী রেশমার টার্গেট প্রবাসী ও টাকাওয়ালা ছেলে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাম রেশমা বেগম, একটি বেসরকারি ব্যাংকে কমরর্ত। সুন্দরী ও স্মার্ট এটাই প্রতারণার বড় হাতিয়ার। এ সুন্দর কে কাজে লাগিয়ে প্রেম, বিয়ে, হানিমুন ও টাকা দাবী না দিলে মামলা, তালাক রেশমার নিত্যদিনের সঙ্গী। বলছি মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের শ্রীমতি গ্রামের আবদুল খালেক আকন্দ ও তাহমিনা আক্তার ওরুপে বেনু মেম্বারের কন্যা রেশমা বেগম (৩৫) এর কথা। মুলাদীর গাছুয়া গ্রামে শৈশব কাটালেও শেষ পর্যন্ত সেখানে আর ঠাই হয়নি। ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তিনি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রেশমা বেগম স্কুল জীবন থেকেই এলাকায় বেশ পরিচিতো, প্রেম ভালোবাসায় চ্যাম্পিয়ন করেছে রেশমা। পরবর্তীতে ঢাকায় এসেও সেই পথেই হাটা শুরু করেন। সুন্দর রেশমার টার্গেট প্রবাসী ও টাকাওয়ালা। প্রেম করে সর্বশান্ত করে দিয়ে কেটে পড়েন অথবা ওই প্রেমিকের নামে বদনাম ছড়িয়ে হেনেস্থা করাই ছিলো তার কাজ। এ প্রতিবেদকের কাছে রেশমার দুইটি তালাক নামা এসেছে। একটি রেশমা দিয়েছে প্রবাসী মুনসুর নামের এক যুবককে। অন্যটি আরেক প্রবাসী স্বামী রেশমাকে দিয়েছে।
জানা যায়, রেশমা প্রমান রেখে কোন কাজ করেন না, যার কাছে প্রমান থাকবে তাকেই হেনেস্থা করবে। রেশমার প্রতিবেশী ডিসেম্বর ২০১১ সালে মুনসুরের সাথে বিবাহ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুনসুর কে সর্বশান্ত করে রেশমা তালাক দিয়েছেন। সুন্দরী রেশমার সিন্ডিকেট এতই যে শক্ত ভয়ে কথা বলার সাহস পায়নি মুনসুর। দ্বিতীয় তালাক নামাটি হলেন আরেক প্রবাসীর যিনি বিয়ের পর রেশমা কে বিশ্বাস করে পবিত্র ওমরা করতে নিয়েছেন। রেশমার বাবা মায়ের চিকিৎসা করিয়েছে।
তবুও রেশমা ওই প্রবাসীর বৃদ্ধা বাবা মাকে একাদিক বার হেনেস্থা করেছেন। টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে এক পর্যায়ে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় রেশমা ওই স্বামীর বিরুদ্ধে মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার ট্রাইব্যুনালে দুইটি সাজানো মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই এর কাছে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। আলাদা আলাদা তদন্ত করে দুইটি মামলার কোন সত্যতা নেই বলে কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন পিবিআই।
এতেও থেমে যায়নি রেশমা, ওই স্বামীর পরিবার কে দেখিয়ে নেওয়া হুমকি ও প্রবাসী স্বামীকে দেশে আসলে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন প্রতিনিয়ত। এক পর্যায়ে রেশমার বিরুদ্ধে ঢাকা ভাটারা, পল্লবী ও পল্টন থানায় তিনটি জিডি করা হয় বিভিন্ন সময়ে। কাগজে-কলমে দুইটি বিয়ের সন্ধান পেলেও রেশমার পরকিয়া প্রেমের রয়েছে অসংখ্য ঝুলি। কৌশলবাজ রেশমা দুই স্বামীর ঘরে সংসার করলেও কোন সংসারেই বাচ্ছা নেয়নি। শুধু রেশমা নয় তার বড় বোন এসব কর্মকা-ে এলাকা ছেড়ে দ্বিতীয় স্বামী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন।
রেশমার সাবেক প্রবাসী স্বামী জানান, আমার বাড়ী ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে। রেশমা  আমার জীবনকে তসনস করে দিয়েছে। আমার সামনে পরকিয়া করতো, বাধা দিলেই মামলার হুমকি দিতো। পরবর্তীতে ভাবলাম হজ্জ করালে মনে হয় ভালো হবে। হজ্জ করানোর পর আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চায়। আমি না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করলো। পিবিআই তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত করেছে। ওই প্রবাসী রেশমার বিচার দাবী জানিয়েছে যাতে কোন নারী পুরুষদের জীবন নিয়ে এমন ছিনিমিনি না করতে পারে। এ বিষয়ে রেশমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইলে একাদিক বার কল দিলেও বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিস্তারিত আরো আসছে দ্বিতীয় পর্বে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।