সর্বশেষঃ

চরের মানুষের জীবন : পর্ব-৬

চর কচুয়াখালীতে চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন

চরের মানুষের জীবন : পর্ব-৬

জাহিদ দুলাল ॥ ৩৫ বছর বয়সী যুবক মো. আকতার মাতাব্বর। ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড চর কচুয়াখালীর বাসিন্দা। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে চর কচুয়াখালীতে বিভিন্ন কৃষি কাজ করে যাচ্ছেন। এ বছর ১৬০ শতাংশ জমিতে চিচিঙ্গার চাষ করেছেন। বর্তমানে তার চাষের জমি থেকে প্রতি দুই তিন দিন পরপর চিচিঙ্গা তুলে বিক্রি করছেন।
আকতার মাতাব্বর বলেন, এবছর চরে চাষের ১৬০ শতাংশ জমিতে হাইব্রীড জাতের চিচিঙ্গা চাষ করেছি। এখন ফলন আসতে শুরু করেছে। প্রতি দুই তিন পরপর চিচিঙ্গা তুলে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাচ্ছি। চরকচুয়ার চরের জমি খুবই উর্ভর। সকল ধরনের কৃষি চাষ এখানে অনেক ভালো ফলন হয়। প্রতি বছরই অন্যান্য সবজির সাথে চিচিঙ্গা চাষ করি। এবছর চিচিঙ্গার ফলন অনেক ভালো। আশা করছি শেষ পর্যন্ত খরচ বাদে অনেক লাভবান হবো।
একসময় বানিজ্যিক ভাবে লালমোহনে চিচিঙ্গার চাস করা হতো না। গৃহস্থ বাড়ির উঠানে বা পতিত জমিতে শুধুমাত্র পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য মাঁচা তৈরী করে বা ঘরের চালায় চিচিঙ্গা চাষ করা হতো। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় এবং বাজারে চিচিঙ্গার ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম হওয়ার কারণে লালমোহনের অনেক কৃষক এখন চিচিঙ্গা চাষ করে লাভবান হচ্ছে।
আকতার মাতাব্বর আরো বলেন, চিচিঙ্গা চাষ একটি লাভজনক ফসল। চরের জমিতে বিভিন্ন গাছ ও বাঁশের খুটি, রশি, জাল ও জিআই তার ব্যবহার করে তৈরী করেছি চিচিঙ্গার মাঁচা। এসব মাঁচায় এখন প্রচুর পরিমানে চিচিঙ্গা ধরেছে। নিয়মিত চিচিঙ্গা খেত পরিচর্চা করতে হয়। গাছের হলুদ পাতা ছিড়ে ফেলতে হচ্ছে। পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য দিতে হয় কীটনাশক। সার, ওষুধ, কীটনাশক, লেবারসহ সকল খরচ বাদ দিয়ে এবছর ভালো লাভ হবে।
লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, প্রতি বছর লালমোহন উপজেলার মূল ভূখন্ড ও বিভিন্ন চরাঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে কৃষি চাষাবাদ হয়। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এসব কৃষকদের নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি চাষাবাদ করতে গিয়ে কেউ কোনো সমস্যার সম্মুখিন হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ রইলো। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো তাদের পাশে থাকতে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।