সর্বশেষঃ

ভোলায় বয়স ও ঠিকানা পাল্টে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি পদে নিয়োগ !

এইচ এম জাকির ॥ ওয়ার্ড ভিত্তিক নিয়োগ, অর্থাৎ প্রার্থীকে অবশ্যই কর্মস্থল যে ওয়ার্ডে সেখানকার বাসিন্দাই হতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি উল্লেখ করা হলেও সকল ধরনের শর্তাবলীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সম্পূর্ণ জাল-জালিয়তির মাধ্যমে প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রে থাকা নির্ধারিত বয়স কমিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে জন্ম তারিখ। এর সাথে প্রার্থী ও তার মা-বাবার আইডি কার্ডও পরিবর্তন করে পাল্টে দেয়া হয়েছে প্রকৃত ঠিকানা। যা পুলিশের একাধিক তদন্তে মিলেছে এর সত্যতা। এরপরও ইউনিয়নের অসংখ্য যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য উপজেলার বাসিন্দার চাকরি হওয়া নিয়ে ওই ইউনিয়নসহ পুরো জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
বলছি দ্বীপজেজলা ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডর (সিএইচসিপি) পদে চাকরিরত স্বাস্থ্য সহকারী আখি তারা’র কথা। জন্মসূত্রে তিনি সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চর ছিফলী গ্রামের বাসিন্দা হলেও ২০১১ সালের পর থেকে বৈবাহিক জীবনে শ্বশুর বাড়ির সুবাদে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের বাসিন্দা হিসেবেই ছিলো তার ঠিকানা। অথচ ২০২২ সালের ডিসেম্ব^রের দিকে দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি পদে চাকরি পেয়েছে সদর উপজেলার বাসিন্দা আখি তারা। যদিও এর জন্য তাকে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তার প্রকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের নির্ধারিত বয়স থেকে ২ বছর কমিয়ে জন্ম তারিখ পরিবর্তনসহ ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের প্রকৃত ঠিকানাও পাল্টে দিয়ে বসানো হয়েছে অন্য উপজেলা অর্থাৎ তার কর্মস্থল দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঠিকানা। এর সাথে নিজের বাবা মায়েরও আইডি কার্ডে থাকা পূর্বের ঠিকানা পরিবর্তন করে ডুপলিকেট আইডি কার্ড বানিয়ে ইউনিয়ন সিএইচসিপি পদে নিয়োগ নিয়ে বহাল তবিয়তে এখন চাকরি করছেন আখি তারা।

এদিকে ওই ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি পদে আখি তারা’র নিয়োগটি সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতি উল্লেখ করে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলা ওয়ার্ড ভিত্তিক নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে গেলো ২০২৩ সালের ২ নভেম্বরের দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর দারখাস্ত করেন মোঃ জামসেদ হাসান নামের এক প্রার্থী। ওই দরখাস্তটির এক কপি এই প্রতিবেদকের হাতে আসলে এ নিয়ে অনুসন্ধানে নামতেই বেড়িয়ে আসেছে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন তথ্য।
দেখা গেছে, দ্বীপজেলার ভোলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে লোকবল নিয়োগে ২০২২ সালের নভেম্বরের শুরুতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেই বিজ্ঞপ্তির আলোকে জেলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য একজন সিএইচসিপি পদের বিপরীতে অগনিত আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ভোলা সদর উজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী আখি তারা নামে এক প্রার্থীর আবেদনও দেখা যায়। যদিও আবেদনকারীকে অবশ্যই কর্মস্থল অনুযায়ীই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতে হবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এধরনের শর্ত উল্লেখ থাকা সত্বেও কিভাবে আখি তারা আবেদন করে রীতিমতো সিএইচসিপি পদে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই ছুটে যাই তার জন্মস্থান সদর উজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চর ছিফলী গ্রামে।
সেখানকার একাদিক ব্যক্তির পাাশাপাশি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মাতব্বর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আখি তারা চরসামাইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাজাহান হাওলাদারের কন্যা। জন্ম সূত্রেই সে এই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও বিবাহিত জীবনে এসে তার শ্বশুর বাড়ি সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করছে। হঠাৎ করে আখি তারা ও তার বাবা শাহজাহান, মাতা রিজিয়া বেগম কিভাবে দৌলাতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলো বিষয়টি তার বোধগম্য নয় বলে জানান তিনি।


জেলার নির্বাচন অফিসে আখি তারা’র জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কে জানতে গিয়ে সেখানে সন্ধান মিললো তার ৩টি পরিচয় পত্রের। প্রথমে ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবরে বের হওয়া তার জাতীয় পরিচয় পত্রে দেখা গেছে আখি তারা, স্বামীঃ মোঃ বিল্লাল হোসেন, ঠিকানাঃ স্বামীর বাড়ির ঠিকায় অর্থাৎ সাদেক হাওলাদার বাড়ি, গ্রামঃ নবীপুর, ডাকঘরঃ রতনপুর, ভোলা সদর ভোলা। তার আরেকটি জাতীয় পরিচয় পত্রে দেখা গেছে, পূর্বে সব তথ্য ঠিক থাকলেও স্বামীর নামের স্থানে রয়েছে পিতা মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের নাম। কিন্তু দুটো আইডি কার্ডের জন্ম তারিখই দেখা গেছে ১ জানুয়ারী ১৯৯৩।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বরের দিকে বের হওয়া তার আরো একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের সন্ধান মিললেও সেখানে তার বয়স ও ঠিকানা সব কিছুর পরিবর্তন দেখা গেছে। পূর্বের আইডি কার্ডে তার ঠিকানা স্বামীর বাড়ির ঠিকানা হিসেবে সাদেক হাওলাদার বাড়ি, গ্রামঃ নবীপুর, ডাকঘরঃ রতনপুর, ভোলা সদর ভোলা। এই ঠিকানা থাকলেও বর্তমানের আইডি কার্ডের ঠিকানায় উল্লেখ করা হয়েছে তার কর্মস্থল দৌলতখান উজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ি, গ্রামঃ কলাকোপা, ডাকগরঃ দিদারুল্লা এই ঠিকানা। স্বামী থাকা সত্বেও আইডি কার্ডে স্বামীর নামের স্থানে দেয়া হয়েছে পিতা মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের নাম। এমনকি পূর্বের আইডি কার্ডের নির্ধারিত বয়সের দুই বছর কমিয়ে ১ জানুয়ারী ১৯৯৩ সালের স্থানে পরিবর্তিত জন্ম তারিখ বানিয়েছে ৩ জানুয়ারী ১৯৯৫। অথচ ২০১১ সালে তার নিকাহ্নামাতে উল্লেখিত জন্ম তারিখ রয়েছে ১ জানুয়ারী ১৯৯৩। এমনকি সেখানে তার স্থায়ী ঠিকানাও ভোলা সদর উজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চর ছিফলী গ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু মাত্র ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে চাকরি পেতে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এতো কিছু জাল-জালিয়াতি করার পরও কর্তৃপক্ষ কিভাবে এমন এক প্রতারকে চাররি দিয়েছে তা নিয়ে বঞ্চিত অন্যসব প্রার্থীসহ স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। কেননা ২৪ নভেম্বর ২০২২ সালের দিকে আখি তারা চাকরির জন্য আবেদন করলেও জেলার নির্বাচন অফিস থেকে তার পরিবর্তিত জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের উল্লেখিত তারিখ রয়েছে ১৭ ডিসেম্বর ২০২২। এমনকি আবেদনেরও অনেক দিন পর তার কর্মস্থলের ইউনিয়ন অর্থাৎ দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম হোসেন ওমি চৌধুরী স্বাক্ষরিত নাগরিকত্ব সনদ ও প্রত্যয়ন পত্রের উল্লেখিত তারিখও দেখা যায় ৩ মে ২০২৩।

এ ব্যাপারে চরখলিফা ইউনিয়নের চেয়াম্যান শামীম হোসেন ওমি চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, যদিও প্রথম অবস্থায় তার ইউনিয়নে আখি তারা ও তার পরিবারের কারোরই কোন অস্তিত্ব না থাকায় নাগরিকত্ব সনদ দেয়ার বিষয়ে তিনি একেবারেই অপারগতা প্রকাশ করেছেন। পরিবর্তীতে ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডেই ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের রেজিস্ট্রিকৃত তাদের একখন্ড জমি ক্রয় এবং একটি জুপরি ঘর দেখালে এরপর ২০২৩ সালের ৩ মে তাকে ওই ইউনিয়নের নাগরিকত্ব সনদ প্রদান করা হয়।
যদিও আখি তারা ও তার পরিবারের কাউকেই দৌলতখান উজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কেউই চিনেন না এমনটি দাবী করে ওই ওয়ার্ডের একাধিক ব্যক্তি জানান, এই মেয়ে কিংবা তার পরিবারের কাউকেই এই ওয়ার্ডের কেউ কখনো দেখেনি। সেখানকার প্রবীন বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন মিয়া, শফিউল্লা, কালাম মিয়াসহ আরো অনেকে জানান, ২০২২ সালে শেষের দিকে আখি তারা নামের মেয়েটির বাবা মোঃ শাহজাহান মিয়া এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহে আলমের কাছ থেকে ৮ শতাংশের মতো একখন্ড জমি ক্রয় করে সেখানে টিনের একটি ছাউনি তুলে রেখেছেন। তার আগে কখনোই তাদেরকে অত্র এলাকায় দেখা যায়নি কিংবা এ ওয়ার্ডে তাদের কোন আত্মীয় আছে বলেও শুনা যায়নি।


তাহলে ওই ওয়ার্ডের নাগরিক না হতেই সেখান থেকে কিভাবে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন আখি তারা’র কর্মস্থলে গিয়ে তার কাছে এমন প্রশ্ন রাখতেই তিনি প্রতিবেদকের সাথে এ বিষয়ে কোন কথা না বলেই কর্মস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করতেই তিনি পুলিশের উপর নানাভাবে দোষ চাপিয়ে পুলিশের দাবীকৃত মোটা অংকের টাকা না দেয়াতে তাকে নিয়ে উল্টো প্রতিবেদন দেয়ার দাবী করছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। চাকরির আবেদনের পরবর্তিতে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা ও বয়স পরিবর্তনের বিষয়ে জানার চেষ্টা করতেই তিনি চটে গিয়ে এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদককে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করেন।
তবে সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের নাগরিক আখি তারা কিভাবে দৌলতখান উজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নাগরিক হয়েছেন এমন প্রশ্নে তার স্বামী সেনা সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরবর্তিতে অকপটে তিনি স্বীকার করলেন চাকরি পাওয়ার জন্যই মূলত আমার স্ত্রী আখি তারা বিভিন্ন ধরনের জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে থাকায় তার অজান্তেই স্ত্রী ও শ্যালক, শ্বশুর মিলেই এ ধরনের কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের বিষয়ে যাচাই বাছাইয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলেও এই ক্ষেত্রেও দেখা গেছে তার কোন ধরনের ব্যাপ্তী ঘটেনি। তবে একটি নয়, এক এক করে পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি তদন্ত প্রতিবেদনেই একই ফলাফল দেখা যায়। তার মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের ভোলা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ডিআইও-১ ডিএসবি মীর খায়রুল কবির এর স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে আখি তারা’র স্থায়ী ঠিকানাসহ অন্যসব তথ্যাদি সঠিক নয় বলে দাবী করা হলেও পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার এর স্বাক্ষরিত আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদনেও একই কথা উল্লেখ করে আখি তারা চাকরির আবেদনের ১ মাস পর অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের দিকে ওই ওয়ার্ডে একখন্ড জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হওয়ার পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নের চেয়াম্যানের দেয়া নাগরিকত্ব সনদের ফলে ওই ওয়ার্ডে তাদের স্থায়ী ঠিকানা প্রকাশ পায় বলে লেখা হয়।
তবে আবেদনকালীন সময়ে আখি তারা ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা দৌলতখান উজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে আবেদন করে কিভাবে চাকরি পেলেন এমন প্রশ্নে ভোলা সিভিল সার্জন ডাঃ একে এম শফিকুজ্জামান অনেকটা দায়সারা বক্তব্যেই বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ পুুলিশি তদন্তের মাধ্যমে তৈরিকৃত প্রতিবেদন আমাদের মাধ্যমে সিবিএইচসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর চাকরির বিষয়টি সেখান থেকেই নিশ্চিত করা হয়। এখানে ভোলা সিভিল সার্জনের হাতে কোন কিছুই নেই বলে জানান তিনি।
আধুনিক যুগেও যেখানে পুরো দেশ জুড়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার সেখানে এ ভাবে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন জেলার সচেতন মহল। অবিলম্বে এ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতিকারীদেরকে চাকুকিচ্যুত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।