ওরা কেমন পাষণ্ড?  

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় প্রতিবন্ধীসহ দুইজনকে পিটিয়ে জখম

ইয়ামিন হোসেন : ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ৪নং ওয়ার্ডে পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিবন্ধীসহ দুইজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ৭ই জানুয়ারী রাত আনুমানিক ৮টায় পশ্চিম ইলিশা কাজীর চর নামক স্থানের মালেক বেপারী বাড়ীর শাহীনের ঘরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত প্রতিবন্ধী জসিম ও তার বৃদ্ধ বাবা কে মুমূর্ষ অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্স যোগে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত প্রতিবন্ধী জসিমের পিঠে গুরুত্বর জখম ও মাথায় আঘাত করা হয়েছে। জসিমের বৃদ্ধ বাবা মোখলেস মিয়ার হাত ভেঙ্গে দিয়ে পিঠে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জসিম জানান, আমি মামুন নামের এক যুবকের কাছে ১৫ হাজার টাকা পাবো। আমার টাকা দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাঘুরি করছেন মামুন। নির্বাচনের দিন মামুন কে বটতলা বাজারে দেখে আমি টাকা চেয়েছি। মামুন ও তার স্বজন শেলিম টাকা দিবে বলে তার শাহীনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে টাকা না দিয়ে নানান কথা বলেন। আমি প্রতিবাদ করায় আলামিন, শেলিম, মামুন ও শাহীনসহ আরো কয়েকজনে মিলে আমাকে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যায়। আমার খবর পেয়ে আমার বাবা গেলে তাকে ও পিটিয়ে, কুপিয়ে হাত ভেঙ্গে পেলে তারা।
জসিম বলেন, আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। আমার একটা চোখ নাই। গরীব মানুষ, আলামিন ও মামুনের ক্ষমতা আছে বলে শেলিম শাহীন মিলে আমাদের পঙ্গু করে দিয়েছে। ডাক্তার বলেছে আমার বাবা কে অপারেশন করতে হবে।  এখন কই পাবো এত টাকা? এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতদের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল উল্টা আমাদের দোষারোপ করছে বলেও জানান জসিম।
জসিমের বাবা মোখলেস বলেন, মামুনরা সন্ত্রাসী, তারা এলাকায় এমনই করে বেড়াই। তাদের কিছু বলার মত মানুষ পশ্চিম ইলিশায় নাই।
অভিযুক্ত মামুন বলেন, আমার বাড়ীতে এসে আমার খালাতো ভাইকে ধরে নিতে চেয়েছে। আমরা এতে বাধা দিয়েছি। আর তাদের মাইরে তারা আহত হয়েছে বলে দাবী করেন মামুন। এদিকে অভিযুক্ত মামুন ও আলামিন স্থানীয় মেম্বার জসিম খালাসীর আপন খালাতো ভাই দাবী করে বলেন মেম্বার সাহেব সবই জানে। যদিও মেম্বার জসিম খালাসী বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আমি তেমন কিছু জানিনা, মারামারি হয়েছে শুধু এতটুকু জানি।
এ বিষয়ে পশ্চিম ইলিশা ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইব্রাহীম মিয়া বলেন, খবর পেয়ে জসিম ও তার বাবা কে দেখতে গিয়েছি খুবই অমানুবিক ভাবে তাদের মেরেছে। শরীরে প্রচণ্ড জখম দেখেছি।
পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি জসিম ও তার বাবা বেশি জখম হয়েছে এবং তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন, এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।