দু-চোখে সুন্দর পৃথিবী দেখতে চায় ভোলার জহির

মোঃ মনজুর রহমান কামরুল ॥ দিনমজুর ফজলুর রহমানের ছেলে জহুরুল ইসলাম বিগত কয়েক বছর যাবৎ মানুষিক রোগী। ছিকলে বাঁধা দিন অতিবাহিত করছিল। দিনমজুর বাবার সামর্থ্যানুযায়ী ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগীতায় বরিশালে চিকিৎসা শেষে জহিরুল এখন স্বাভাবিক জীবন যাবন করলেও দুই সন্তানের জনক জহিরের জীবন যেন অন্ধকার। আগে মাঝে মধ্যে কর্ম করে সংসারের ভরন-পোষণ চালালেও এখন ইচ্ছে থাকলেও সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধির মত। তার ডান চোখে দিনে কিছুটা দেখতে পেলেও বাম চোখে মোটেও দেখেননা।
স্থানীয় এলাকা সুত্রে জানা যায়, দিনমজুর বাবা ও এলাকাবাসীর আর্থিক চাদা তুলে নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিউড হাসপাতাল চিকিৎসা করেও পায়নি কাঙ্খিত সমাধান। বাবা আর্থিক অভাবের গাড়ী বন্ধ হওয়াতে চিকিৎসা চলছেনা জহিরের। ডাক্তার বলেছে লেন্স লাগানো লাগবে। একদিকে ৪ সদস্য পরিবারের ভরন-পোষণ; অন্যদিকে চিকিৎসা খরচ অসহায় বাবার কাধে। নিরুপায় বাবার আকুতি আমার জহির দু-চোখে দেখতে চায়। সমাজের কোন বিত্তবান ব্যক্তি যদি আমার সন্তানের চোখের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিতেন, তা হলে আমি বাবা হিসেবে কিছুটা স্বস্তি পেতাম।
জহিরুল ইসলাম, ফজলুর রহমানের ছেলে। ভোলা সদর উত্তর দিঘলদীর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা। তার ৮বছরের কন্যা ও ২ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। সামর্থ্যানুযায়ী জহিরের চিকিৎসা খরচের জন্য সকলের নিকট সাহায্য দানের আবেদন জানানো হয়েছে। সাহায্য দানে রোগীর মোবাইল নং-০১৯৯৩-৪৫৭৮৭৫ (বিকাশ/নগদ)।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।