সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা কৃষক

মনপুরায় এক রাতে কৃষকের ১৩ গরু চুরি

মনপুরা প্রতিনিধি ॥ ভোলার মনপুরায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র এক রাতে চার কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে ১৩ গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এতে সর্বস্ব হারিয়ে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে একদিনে এত গরু চুরি হওয়ায় অন্যান্য কৃষক ও গরু খামারিদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এই ব্যাপারে মনপুরায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকের পক্ষে মোঃ ইদ্রিস। এর আগে সোমবার ভোর রাতে চার কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে ট্রলার করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি।
এদিকে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর চুরি হওয়া গরু উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন চরে অভিযান পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন ওসি জহিরুল ইসলাম। এছাড়াও এই ব্যাপারে মনপুরা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান। গরু চুরি হওয়া কৃষকরা হলেন, উপজেলার ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক সুমন এর ৪ টি, ইদ্রিস মাঝির ৫টি, তসলিম এর ১টি ও রুহুল আমিনের ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র।
কৃষকরা জানান, সোমবার ভোর রাতে সংঘবদ্ধ চোর চক্র একে একে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে ট্রলার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় সংঘবদ্ধ চক্রটি গরু চুরি করে নিয়ে গছে বলে অভিযোগ কৃষকের। এছাড়াও অনেকদির পর ফের এতগুলো গরু একসাথে চুরি হওয়ায় কৃষকের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তাছাড়াও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন গরু চোর ও গরু উদ্ধার করতে না পারায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, এক রাতে ১৩ টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। তিনি অভিযোগ করে বলেন চোর ধরিয়ে দিলেও পুলিশ চোর ধরছেনা বরং চোর থেকে মাসোহারা নিয়ে গরু মাংস বিক্রির করার সুযোগ করে দিচ্ছে পুলিশ। মনপুরা থানা পুলিশ ইচ্ছে করে চোর ধরছেনা।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ সংঘবদ্ধ চোর চক্রটিকে ধরতে হাতিয়ার বিভিন্ন চরে অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি আরও জানান, পুলিশ কারও কাছ থেকে কোন মাসোহারা নেয় না। রাজনীতিাবদরা নিজেদের স্বার্থে অনেকের নাম বলে, কিন্তু পুলিশ যাচাই না করে নির্দোষ কাউকে চোর বলতে পারে না। তাই তারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।