স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

চরফ্যাশনের শশীভূষণে ৪ মাস পর কবর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ভোলায় মৃত্যুর চার মাস পর নুরজাহান বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতের নির্দেশে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নুরজাহান বেগম ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী।
ওসি বলেন, ৫ জুলাই ওই গৃহবধূর বাবা মো. মোস্তফা বাদী হয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নুরজাহানের স্বামী জাকিরকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে শনিবার সকালে গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওই গৃহবধূর বাবা মো. মোস্তফা বলেন, ২০০৯ সালে একই ওয়ার্ডের মো. মালেক বাঘার ছেলে জাকিরের সঙ্গে নুরজাহানের বিয়ে দেই। এবছর ১১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নুরজাহান ফোন করে আমাকে বলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কথা বলে জাকির আমাকে একটি ওষুধ খাইয়েছে। এখন আমার বুক জ্বালা পোড়া করছে। তখনই জাকির আমার মেয়ের থেকে ফোনটি কেরে নেয়। পরে মোবাইল ফোনে মেয়ের কান্না ও চিৎকার শুনে আমি জামাই বাড়ি গিয়ে দেখি জাকির অ্যাম্বুলেন্সে করে নুরজাহানকে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে অ্যাম্বুলেন্স ফিরে আসে জাকির জানায় নুরজাহান মারা গেছে। এরপর মহিলাদের মরদেহ দেখা জায়েজ নাই ফতুয়া দেখিয়ে তাড়াতাড়ি করে দাফন সম্পন্ন করেন জাকির।
তিনি আরও বলেন, নুরজাহানের মৃত্যুর ২২ দিন পরে জাকির আবার বিয়ে করেন। একই সঙ্গে নাতি জুবায়ের (৪) ও নাতনি সুমাইয়াকে (৯) আমার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে জুবায়ের কাছে জানতে পারি আমার মেয়েকে মারধরের পর মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলছে জাকির। এরপরই আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাকিরকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছি। সুত্র : জাগো নিউজ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।