সর্বশেষঃ

ভোলায় বিশৃঙ্খলায় শেষ হলো স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মীসভা

এম রহমান রুবেল ॥ ভোলায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী সভায় নতুন সদস্য সংগ্রহে হাতাহাতি ও তৃনমুল পদবঞ্চিত কর্মীদের ক্ষোভ। শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে নতুন বাজার প্রেসক্লাবের পাশে অবস্থিত জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবু ছায়েম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এর সঞ্চালনায় সদস্য সংগ্রহ, নবায়ন ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য আবু জাফর।
উক্ত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে তৃণমুল পদবঞ্চিত ত্যাগী নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে ফুলে ফেপে উঠেন এবং তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ঝাড়েন এই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। পরে অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধান অতিথির সামনেই জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সেক্রেটারি আকতার ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন গ্রুপের কর্মীদের মধ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পদ বঞ্চিতরা জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার ও ভোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ভোলায় না এসে ঢাকায় বসে সিভি আহ্বান করে সিভি পর্যালোচনা না করে সিভির লোক না এনে টাকার ও ফোনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেন। যাদেরকে আপনারা কমিটিতে এনেছেন তাদের অনেকে ই দীর্ঘদিন রাজনীতি সক্রিয় ছিলো না। অনেকেই আবার আবার ঢাকায় ডিমের ব্যবসা করে, কারো আবার ছাত্রলীগের বয়সই শেষ হয় নাই এমন অনেককে এই কমিটি আনা হয়েছে। যাদেরকে কমিটিতে আনা হয়েছে তাদেরকে দলের কোন অনুষ্ঠানে ই এদের দেখা পাওয়া খুব দুষ্কর।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির নেতা মাকসুদ বলেন, কমিটি হওয়ার পর থেকে তারা আজো পর্যান্ত সকলেই একসাথে বসে চা চক্র ও মতবিনিময় সভা ও করতে পারে নাই। এমনকি দলীয় কর্মকান্ড করতে পারেন নাই তারা।
তিনি আরো বলেন, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন রাজপথে তার ভূমিকা ছাড়া মিছিল হতো আজ তার মত লোক হাইব্রিড এবং ঢাকায় বসে কমিটি করায় তার পক্ষে হেভিওয়েট ফোন না থাকার কারণে সে কমিটিতে আসতে পারে নাই। তার মত এমন আরো অসংখ্য রাজপথের ত্যাগী নেতা জাকির মিঝি, রাকিব হাসান, মাকসুদ, এইচ এম ফাহাদ, এম রহমান রুবেল, জামিল, আরিফ, ওমর, অটল, সজিবসহ অনেকেই আসতে পারেন নাই।
এদিকে পদবঞ্চিত জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি ছিলো অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে খুব শক্তিশালি একটি সংগঠন। কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় বসে ভোলায় না এসে অযোগ্য হাইব্রিড ও ডিম ব্যবসায়ী এবং অনেকের ছাত্রলীগের বয়স ও শেষ হয় নাই। ঢাকায় বসে ফোনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেন অথচ তাদের অনেক কেই দলের কোন কর্মান্ডে খুজে পাওয়া যায় না। তবে সব চেয়ে দুঃখের বিষয় হলো ৭টি বছর দলের সম্পৃক্ত থেকে সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেও কমিটিতে জায়গা হলো না সেই অসহায় ত্যাগী নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ভোলার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা আবিদ আল হাসান জানান, আমি আগেই দুঃখ প্রকাশ করছি এখানে কর্মী সভায় ও সদস্য সংগ্রহে এসে বুজলাম ত্যাগী নির্যাতিত দলের জন্য প্রান অনেকেই কমিটিতে আসতে পারেন নাই। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নাই। এমন জায়গা থেকে ফোন আসে তাদের অনেককে চিনি না জানি না। কিন্তু ফোন কে তো অবমুল্যায়ন করতে পারি না। এখন আমি দেখলাম ঢাকায় গিয়ে আমাদের নেতাদের বলবো আপনাদের কে মুল্যায়ন করার চেস্টা করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।