সর্বশেষঃ

থাই ফাইভ জাতের পেয়ারায় মাইনুদ্দিন হাওলাদার মফিজ’র সাফল্য ॥ গর্বিত এলাকাবাসী

মোঃ হারুন অর রশীদ ॥ বিগত বছরে বলসুন্দরি বড়ই করে তাক লাগিয়ে দেয়া মাইনুদ্দিন হাওলাদার মফিজ আবারো হাঁসির মুখ দেখালেন পেয়ারা বাগান করে। তার অনন্য সফলতা গ্রামবাসীরও গর্বে বুক ভরে গেছে। সাহস, চেস্টা, পরিশ্রম আর বিশ্বাস  তার এ সাফল্যের মুল চাবিকাঠি। তার পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস মাধা উচু করে দাঁড়াবার এক বিরল দৃস্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।
জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ফল চাষি মাইনুদ্দিন হাওলাদার মফিজ। ২ বছর পুর্বে বল সুন্দরি বড়ই বাগান করে বড় ধরনের সফলতার পর তিনি নেমে পড়েন পেয়ারা বাগানের পরিচর্চায়। ৩ বছর পুর্বে ৫ একর জমিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পেয়ারা চারা রোপন করেন। নাটোর থেকে থাই ফাইভ জাতের পেয়ারা চারা এনে রোপন করেন তিনি। এর পর চলতে থাকে পেয়ারা চারার পরিচর্চা। ১০ মাসের মাথায় ফলন আসতে শুরু করে। তার বাগান করতে খরচ পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। ২ বছর আয় ব্যায় সমান থাকলেও এ বছর ফলন এসছে প্রচুর। ইতোমধ্যে তিনি ১২ থেকে ১৪ শত মন পেয়ারা বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজী পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দামে। শেষ ছেড়ায় প্রায় ৭ থেকে ৮ শত মন পেয়ারা বিক্রি করতে পেড়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন তিনি। এ জাতের পেয়ারা মিস্টি এবং সু-স্বাধু বলে স্থানীয়রা জানায়। জেলাতে এ জাতের পেয়ারার বেশ চাহিদা রয়েছে। বাগান থেকেই বেপারিরা পেয়ারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কেউবা নিয়ে যাচ্ছে নিজ বাড়িতে টাটকা পেয়ারা। এখন শেষ পর্যায় হলেও লাভের হিসেবটা বেশ বড়ো।


আরো জানা গেছে, যেমনি তিনি লাভের মুখ দেখেছেন; তেমনি এলাকার আরো ১০/১৫ জনের কাজেরও সুযোগ করে দিয়েছেন। তার বাগানে কাজের সুযোগ হওয়া লোকগুলোও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখেই দিন কাটা”্ছনে এটাই তার বড় পাওয়া বলে তিনি জানান।
মাইনুদ্দিন হাওলাদার মফিজ জানান, নতুন কিছু করার ইচ্ছা থেকেই তার এ বাগান করা। বেকার থাকার চেয়ে একটু পরিশ্রমই এনে দেয় সাফল্য। ইচ্ছা আর চেস্টা থাকলে সবই সম্বব বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন সরকারী চাকুরির পিছে না ঘুড়ে আসুন আমরা কুষিকাজে নেমে পরি। এতে আয়ও বাড়বে সম্মানও বাড়বে। নিজের কাজ নিজে করি। কৃষি কাজে এখানকার মাটি শতভাগ উপযোগি বলে তিনি মনে করেন।


এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিসার এইচ এম শামিম জানান, কৃষক মাইনুদ্দিন হাওলাদার মফিজ এর সফলতা ভোলার জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে। আমরা তাকে বাগানের শুরু থেকেই পরামর্শ ও নানা সহায়তা দিয়ে আসছি। জৈবসার ব্যাবহারে তাকে পরামর্শ দেয়া হযেছে। সেই অনুযায়ি তিনি কাজ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তার এ অভুতপূর্ণ সাফল্য তাতে বোরহানউদ্দিন কৃষি বিভাগ গর্বিত।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।