সর্বশেষঃ

তরমুজ চাষে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের চাষিরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন ও অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন। বিগত বছর থেকে বীজ, সার, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ বাড়লেও অধিক লাভজনক হওয়ায় এবছর চাষাবাদ বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর ১৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৭০ হেক্টর। কিন্তু গত বছর চাষিরা ফলন ও বাজার দর ভালো পাওয়ায় তিন গুনের বেশি লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে তা হয়েছে ৭০০ হেক্টও, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৩০ হেক্টর বেশি। পরিবেশ ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এর থেকে ৩৫ হাজার মেক্ট্রিকটন ফলন আসবে বলে আশা করছেন তারা।
উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের দরুন গ্রামের চাষি সিহাব মৃধা জানান, আমি এবছর ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। অন্যান্য বছর থেকে এবছর বীজ, স্যার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন ও দ্বিগুন লাভের আশা করছি।
বাথান বাড়ী গ্রামের চাষি রিয়াজ মীর জানান, আমি ১৬ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি, গ্রেড ওয়ান ও ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেছি, ইতিমধ্যে গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে। একই গ্রামের চাষি ফিরোজ সিকদার, আবু মূসা বিশ্বাস ও গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ইউছুফ হোসেন জানান, গত বছর চাষ করে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবছর আরো বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। প্রতি একর জমিতে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে মূলধন উঠিয়ে দুই থেকে তিন গুনের বেশি লাভ করা যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার এইচ এম শামীম জানান, এবছর ১৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল, তা ছাড়িয়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে গঙ্গাপুর ইউনিয়ন ও তেতুলিয়া নদীর চরে ৪৫০ হেক্টর ও সাচড়া ইউনিয়নে ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এখানকার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী ও অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় অনেকেই তরমুজ চাষে ঝুকছেন।
তিনি আরো জানান, কৃষি উপকরণ দিয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেতের তরমুজ মাঝারি আকার ধারন করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে চাষিরা বাজারে তরমুজ বিক্রি শুরু করতে পারবেন। সকল চাষিকে কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগীতার আওয়াতায় আনা না গেলেও মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।