যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান- ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ভোলায়ও পালিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। এর মধ্যে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত, বিভাগীয় শহরে রক্তদান কর্মসূচি, বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো।
প্রতিষ্ঠার শুরুতে আবুল কাশেমকে আহ্বায়ক করে যুবদলের কমিটি গঠন করা হলেও পরে আবুল কাশেমকে সভাপতি ও সাইফুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাইফুল আলম নিরব যুবদলের নেতৃত্ব দেন। গত ২৭ মে যুবদলের ৮ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সভাপতি ও আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশে দেশের গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে যুব সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ ও যুবকদের মধ্যে বার্তা দেওয়া হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় ভোলাতে পতাকা উত্তোলন সহ র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে ভোলা জেলা যুবদল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম নবী আলমগীর। বিশেষ অতিথি ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সোপান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক। যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদের সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদৌস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হাসান সহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের এইদিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী দলের এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।