ইজিবাইক বন্ধের ব্যপারে কোন একজন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি হাইকোর্টে বন্ধের ওয়ার্ডার নিয়েছেন

যিনি নিজেই ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রশ্ন হল আমাদের ইজিবাইক থেকে বিদুৎবিল দেওয়া হয়না এবং পরিবেশ দুষন করে। কিন্ত উনারা একবারও ভাবেনি যে, বিদুৎ রাতে কম ব্যবহার হয়। ঠিক ঐ সময় আমাদের এই ইজিবাইক চার্জ হয়। যে বিদুৎ নষ্ট হওয়ার কথা ছিল রাতে সেটা থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব দিচ্ছে এই ইজিবাইক। আসুন পরিবেশ দুষণের ব্যপারে, ঢাকা সহ সারা দেশে অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক চলে সেগুলা কি পরিবেশ দুষণ করেনা ? পক্ষান্তরে ইজিবাইক শব্দ দুষণ এবং পরিবেশ বান্ধব, মানব দেহের ক্ষতি করে এমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।
আসুন ইজিবাইক কি কি উপকার কওে সেগুলো জানি। ১। সরকার প্রতি বছর এই খাত থেকে কমপক্ষে ২/৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়।
২। সারা পৃথিবী যখন ইলিকট্রিক বাহন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কেন বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে ?
৩। বেকারত্ব দুরের একটা বড় ভূমিকা রাখে এই বাহন।
৪। ১ লাখ বা দেড় লাখ টাকা দিয়ে অনায়াশে ১০০০ টাকা রোজগার করে। যা দ্বারা ৫/৬ জনের পরিবার ভালভাবে সংসার চালিয়ে ভাল আছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক বাদ দিয়ে এই বাহনের মাধ্যমে বহু লোক পরিবার চালায়।
আসুন এই করোনার সময় বিদেশ ফেরত বহুলোক গাড়ী কিনে নিজে অথবা ড্রাইভার নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। বহু বাহীনির লোক এই বাহন কিনে ভাড়া দিয়ে একটু ভালভাবে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। সরকার যেখানে বেকারত্ব দুর করতে ব্যস্ত, সেখানে আমাদের ইজিবাইক নামক বাহনটি ৪০ লাখ লোকের কর্ম সংস্থান করছে। যার সাথে ২ কোটি লোক জড়িত তাদের পরিবার নিয়ে। ভাবুন তো, এই বাহন বন্ধ হলে লক্ষ লক্ষ লোক কিভাবে চলাফেরা করবে ?
যেখানে একজন স্কুল ছাত্র ৫/১০ টাকা দিয়ে শহরের যে কোন জায়গায় যেতে পারে। যেখানে রিকশায় লাগে ৩০/৪০ টাকা। বহু প্রতিবন্ধী এই গাড়ী চালায়। এই সেক্টরের সাথে যারা জড়িত সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে, সরকারের নজরে আনতে হবে, তা না হলে ২ কোটি মানুষ বেকার হয়ে যাবে। সবাই এগিয়ে আসলে বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।