উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের সার্থক পরীক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট ভূমিকা প্রসঙ্গে

বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশ এর ধারায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। এর সাথে দ্রুত সমৃদ্ধি অর্জন এর জন্য বাংলাদেশের মানুষের আকাংখা এই বিকাশের ধারাকে অগ্রসর করে নিচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশল নীতিমালা উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অন্তনিহিত বিরোধ মিমাংসায় সার্থক পরীক্ষাও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে অভিব্যক্ত হয়েছে। আর্থিক বৈষম্য দুর করে একাজে অগ্রসর হওয়র দৃঢ়তা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেখিয়েছেন। বিনিয়োগ এর ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতার ধীর গতির কারনে দ্রুত বিনিয়োগ ক্ষেত্রে অবরোধ সৃষ্টি করে চলছে। এই বাধা বা জটিলতা দুর করতে পারলে আমাদের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম যুব শক্তির কঠোর পরিশ্রম উৎপাদিত সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, পুজিঁ বৃদ্ধির পথ প্রশস্থ করবে। বৈদেশিক ঋণের মসৃন প্রাচুর্জের পথ বেয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের পথে অগ্রসর হলে ভারতের মতো মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সম্ভাবনা দেখা দেবে।

আমরা সকলে জানি স্বাধীন বাংলাদেশর পুর্নগঠনের কাজ শুরু হয়েছিল একেবারে শুন্য হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। সে সময় বিধ্বস্ত অবকাঠামো বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প কারখানা অচল হয়ে পরা পোর্ট, বিধ্বস্ত সড়ক, রেলপথ, বিমান ও জাহাজ যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে গেলে একেবারে নতুন করেই গড়ে তুলতে হয়েছিল। বলতে গেলে বলতে হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মতই এটাও অতি কঠিন ও দুরুহ কাজ ছিল। জতির জনক বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যে, অতিদ্রুত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। একটা শক্তিশালী আধুনিক রাষ্ট্ররুপে এবং এর মাধ্যমে জনগনের আকাংখা পুরন করতে হবে। সে জন্য আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক চাহিদা ও বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু দ্রুত জাতীয় সংবিধান রচনা করেন। সংবিধানে চারটি জাতিয়তাবাদ আদর্শকে আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য গ্রহণ করেছিলেন গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রেও পথকে। যা রাষ্ট্র গঠনের জন্য সহায়ক হয়ে উঠেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো; কিন্তু কো দেশের কর্মপন্থাকে অনুকরণ করবো না। বাংলার ভৌগলিক প্রকৃতি ও বাঙালির সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন কর্মপন্থা আমাদের উদ্ভাবন করতে হবে। একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতির বিকাশের মর্ম ভিন্নতর তাই আমাদের ঐতিহ্যেও সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন কর্মপন্থা আমাদের উদ্ভাবন করতে হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু এবং সমাপ্তি একটু ভিন্নতর ছিল। ১৯৫২ এর ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে ভাষা ভিত্তিক জাতিয়তাবাদ গড়ে উঠার ভিত্তি ছিল আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম এর বিকাশ এর ভিত্তি। অন্যসব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অনুসরণ করতে গেলে স্বাধীনতা সংগ্রাম তাৎপর্যহীন হয়ে যেত। কাজেই আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক পটভূমিতে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সমৃদ্ধশালী অর্থনৈতিক সামজিক অবস্থার নীরিক্ষে গণতাত্রিক মত ও পথের মধ্যে থেকে নিজস্ব পথ বেছে নিয়ে সমৃদ্ধ দেশে গঠনে অগ্রসর হয়েছেন।
মূলত : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশ গঠনের মৌলিক পরিকল্পনা দিকনিদের্শনা উপরই নির্ভর করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তার স্বাধীনতার স্বপ্ন ও পরিকল্পনার সাথে সাথে জেলখানায় থাকা কালীন অবসরে স্বাধীনতা অর্জন এর পর কিভাবে দেশ, জাতি, সমাজরাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে হবে তারও দিগ নিদের্শক তিনি। বঙ্গবন্ধু তার শাসন আমলে ভারত এর সাথে সিট মহল সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক চুক্তি সম্পাদন করে রেখে গিয়ে ছিলেন। সমুদ্র সীমানা নির্ধারন করার জন্য আন্তর্জাতিক ম্যারিটাইম আদালতে মহিসোপানের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা করে রেখে গিয়ে ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এর জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন পাশ করে রেখে গেছেন। দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী কর্মকর্তাদেও প্রশিক্ষণ এর জন্য বাংলাদেশ মিলেটারী একাডেমী, বি.এম.এ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
তারই আলোকে ও দিগনিদের্শনায় ভিত্তিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এক এক করে দীর্ঘ দিনের সিট মহল সমস্যার সমাধান, আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্র সীমার রায়, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল চালু করেন। যুদ্ধাপরাধীদেও বিচার সম্পন্ন করা সহ সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ পরীকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। সামরিক বাহিনী থাকলেই চলবেনা। আধুনিক অস্ত্র এর যোগানও দিতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ তৈরি করার নিজস্ব পরীকল্পনা হাতে নিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বুঝে ফেলেছেন যে, ধার করা অ¯্র নিয়ে বেশিদিন লড়াই করা যায়না। এই জন্য অ¯্র, নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজ নির্মান সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে এই উদ্যোগ এর সফলতা পাওয়া গেছে। একটা কথা আমরা জানি প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বয়ম্ভরতা যে কোন স্বাধীন দেশের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
এটা প্রনিধান যোগ্য যে, দেশের নানাবিধ শিল্পকে প্রসারিত ও মজবুত করতেও প্রতিরক্ষা শিল্প কম সাহায্য করে না। প্রতিরক্ষা শিল্প এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বহু অ্যান্সিলিয়ারী শিল্পও গড়ে উঠে। বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা শিল্প এর পাশাপাশি অ্যান্সিলিয়ারী শিল্প খুবই সহায়ক হতে পারবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সকল জেলার সমউন্নয়নের প্রশার ঘটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সড়ক, নৌ, বিমান যোগাযোগ এর গুরুত্ব অনুধাবন করে ছিলেন বলেই, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই জাপান সফরে যমুনা ব্রীজ প্রকল্প এর পরিকল্পনা কথা উত্থাপন করেন এবং জাপান সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করেনেন। বঙ্গবন্ধু নৌ-পথকে সচল রাখার জন্য প্রথম ড্রেজার সংগ্রহ করে গেছেন। বহি:বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য জাতীয় বিমান সংস্থা, বাংলাদেশ বিমান গড়ে তুলে ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ জাহাজ নির্মান শিল্প গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এবং বাংলাদেশের তৈরি সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় বিমান সংস্থার জন্য নতুন প্রজন্মের আধুনিক বোয়িং বিমান সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ বিমান সংস্থা গড়ে তুলেছেন। অপর দিকে বিমান যোগাযোগকে সম্প্রসারিত করার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকি করণ এর জন্য থার্ড টার্মিনাল নির্মান কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর নির্মান, কক্সবাজার বিমান বন্দর, সিলেট বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দরে রুপান্তরিত করেছেন।
দেশের সড়ক যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু পথ নির্দেশনা অনুসরন করে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় মেঘা প্রকল্প পদ্মা ব্রীজ নিজস্ব অর্থায়নে নিমার্ন এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে আজ সমাপ্তির পথে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা নর্থবেঙ্গল এর সড়ক পথ আজ আন্তর্জাতিক মানের সড়ক পথে রুপান্তরিত হয়েছে। রেল যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে গড়ে উঠেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। নৌ যোগাযোগও আমদানী রপ্তানি ব্যবসা-বানিজ্য সম্প্রসারণ এর ফলে। ইতিমধ্যেই ডিপ সি পোর্ট স্থাপন এর মেঘা প্রজেক্ট এ হাত দিয়েছেন সরকার। দক্ষিণাঞ্চলে পায়রা বন্দর, মাতার বাড়ী ডিপ সি পোর্ট ও চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল এর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু শুন্য হাতে দেশের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়ার সহায়তার সিদ্ধিরজন্ম প্রথম বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান সম্পন্ন করে ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে দেশ আজ শতভাগ বিদুৎ সংযোগ সম্পন্ন হয়েছে। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মাতার বাড়ী কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্টি, রামপাল, পায়রা পাওয়ার প্লান্টি এর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর জন্য প্লানিং কমিশন গঠন করে ছিলেন এবং দেশের জন্য পাচশালা পরিকল্পনায় হাত দিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ভিশন ২০২০-২০২১ পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশকে অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করেছেন। এছাড়া সমৃদ্ধ উন্নত দেশ গঠনের জন্য ভিশন ৪১ ঘোষনা করেছেন। ২১০০ সালের অভিষ্ট লক্ষ্যে ডেলটা মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়ে পর্যায়ক্রমিক এগিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধির পথে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আধুনিক শিল্পায়ন এর জন্য চট্টগ্রামের মিরশ্বরাইতে পৃথিবীর বৃহত্তম শিল্প নগরী সহ দেশের সকল অংশের জন্য ১০০টি ইপিজেড গড়ে তোলার পরিকল্পনা হতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। কৃষির আধুনিকিকরণ এর জন্য নেয়া হয়েছে বৃহৎ পরিকল্পনা, শিক্ষা বিস্তারের জন্য নেয়া হয়েছে এক মহাপরিকল্পনা, শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিনামূল্যে বই বিতরন ও গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান অন্যতম উদাহরন। দেশের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য গনমানুষের স্বাস্থ্য সেবা দোর গোড়ায় পৌছে দিবার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় প্রতিটি গ্রামের জনপথে কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলেছেন এবং বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করে যাচ্ছেন। এছাড়া দেশের সকল জেলা উপজেলা হাসপাতার সম্প্রসারণ করেছেন। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে গড়ে তুলেছেন বিশেষ বিশেসারিত আধুনিক হাসপাতাল।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তথ্য যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে সাভমেরিন কেবল এর মাধ্যমে সাইবার নেটওর্য়াক ও মহাশুর্নে নিজস্ব স্যাটালাইট প্রেরণ একটি উল্লেখযোগ্য বিজয় বলে চিহ্নিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বারের বাজেটে সার এর ভুর্তকী, নিজস্ব কৃষি যন্ত্রপাতি তৈয়ারী কারখানা গড়ে তোলার জন্য বাজেট বরাদ্দসহ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমি মনে করি এই মুহুর্তে উন্নয়নকে টেকসই ও সুসংহত করার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাগ্র প্রয়োজন পরিকল্পনা কমিশণ এর মাধ্যমে প্রতি জেলায় কি কি কাচাঁমাল উৎপাদন হয় এবং ঐসব কাচাঁমাল ব্যবহার করে কি কি শিল্প ঐ সমস্থ এলাকায় গড়ে তোলা যায় সেই সম্পর্কে একটা ব্যপক সার্ভে করা। ঐ সার্ভের ভিত্তিতে কোন কোন জেলায় কী কী শিল্প স্থাপন করা জরুরী তার একটা তালিকা প্রস্তুত করা। দেশের অভ্যন্তরীন পন্য চাহিদা নিরুপন ও বাজার ব্যবস্থা প্রশার এর জন্য জনগনের দোড় গোড়ায় ন্যায্যমূল্যে পন্য পাওয়ার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন মওজুতধারী, কালোবাজারী, ভেজাল রোধ ও দুর্নীতিকে কঠোর হস্তে দমন করা। এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে কোন অবস্থাতেই ছাড় না দেওয়া। বাংলাদেশী নিজস্ব উৎপাদিত পন্যেও ব্রাডিং করা জরুরী, বিশ্ব বাজাওে ঠিকে থাকতে হলে এই কাজটি করতে হবে। সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় বাধা পুজির সমস্যা, পুজি সংগ্রহের ক্ষেত্রে বৈদেশিক নির্ভরশীলতা কম হওয়া উচিত। দেশ গঠনের ক্ষেত্রে দেশ প্রেমকে জাগ্রত রাখতে হলে, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে জোড়ধার করে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে প্রোজ্জল রাখতে হবে। আমরা চাই বিশ্বের আলো বাতাস মুক্তভাবে আসুক আমাদের অঙ্গনে। আমরা চাই বিশ্ব সংস্কৃতির আসরে আমরা দানও গ্রহন উভয়েরই অংশিদার হবো। জাতির জনকের এই নীতির ভিত্তিতেই বাঙালীর সনাতন সংস্কৃতি বোধ ও রাজনৈতিক চেতনা ধরে রাখার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার সচেষ্ট আছে। বর্হি:বিশ্বের সাথে জাতির জনক কুটনৈতিক সম্পর্ক করে রেখে গেছেন। প্রতিবেশী দুই বৃহৎ শক্তি ভারত ও চিন এর সাথে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন নিজস্ব স্বাধীন স্বক্রীয় ভুমিকায়। এই নীতির ভিত্তি হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মৈত্রির হাত প্রশারিত করেছেন জাপান, থাইল্যান্ড, কম্বোড়িয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার তাগিদ প্রদান করেছেন এবং আরব দেশ গুলির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার তাগিদ প্রদান করেছেন।
ইতিমধ্যে জননেত্রী শেখহাসিনা সরকারে একযুগ অতিক্রম করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে আগামি ১০ বছর বহু বিষয় কঠোর হতে হবে। প্রথমেই বজায় রাখতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। জনগনকে জাতীয় চেতনায় জাতির গৌরবে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। দারিদ্র হ্রাসের নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। দারিদ্রের বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট এবং অনেক কারন থাকায় দারিদ্র হ্রাস করণ কৌশলের ক্ষেত্রে সকলদিক এবং পথ বিবেচনায় আনতে হবে।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার পরিচালনায় আরো বেশি করে অঁঃযড়ৎরঃধৎরধহ এর ভূমিকা পালন করে যেতে হবে। কারন ঢিলে ঢালা হলে, গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার শিথিল্যের প্রশয় পেলে উন্নয়ন সম্ভব হবেনা।

লেখক ঃ ফজলুল কাদের মজনু
সভাপতি
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।