নিয়ম না মেনে মাস্ক পরা ‘অর্থহীন’

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক নিয়মে মাস্ক না পরা অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি টিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, টিকা নিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তবে শুরু থেকেই সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারলে সংক্রমণ অনেক কমানো যেত। শনিবার গভীর রাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে ‘চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা, কঠোর লকডাউন, কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ ?’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব মত দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. শাহ মুনির হোসাইন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক মালবিকা সরকার এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দীপক কুমার মিত্র।
শাহ মুনির হোসাইন বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে বিদেশফেরত অনেককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও পরবর্তীতে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগতদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে পারার ব্যর্থতায় দেশে করোনা ছড়িয়েছে। এই ব্যর্থতা প্রমাণ করে স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে অন্যান্য খাতের সমন্বয় নেই। তিনি বলেন, প্রথমে দেশে যে ‘লকডাউন’ ছিল, সেটা আসলে সাধারণ ছুটি ছিল। এতে লকডাউনের ফল পাওয়া যায়নি।
বাতাসের মাধ্যমেও করোনা ছড়ায়- সম্প্রতি এমন একটি কথা শোনা যাচ্ছে। তাহলে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোনো লাভ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুনির বলেন, এটা যদি সত্যও হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে মাস্ক পরা তো ছাড়াই যাবে না বরং মাস্ক আরও বেশি করে পরতে হবে। তিনি বলেন, শুধু বলা হচ্ছে- মাস্ক পরুন, কিন্ত কী ধরনের মাস্ক পরবে এবং কী উপায়ে পরবে- তা নিয়ে কিন্তু সেভাবে বলা হচ্ছে না, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম না মেনে মাস্ক পরা অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. দীপক বলেন, এখন থেকেই সবাইকে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ- কেউ মাস্ক না পরলে তার সঙ্গে কথা না বললে, দোকানি মাস্ক না পরলে সে দোকান থেকে কিছু না কিনলে তারা মাস্ক পরতে বাধ্য হবেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।