সর্বশেষঃ

১৯৭১ সালে শহীদ মোহাম্মদ হানিফ এর জন্ম ভোলায়

২৫ শে মে ১৯৭১ সালে আত্রাই থানার সিংসাড়া গণহত্যায় তিনি শহীদ হন। তিনি বর্তমান ভোলা জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম চর নোয়াবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাবিবুর রহমান মাতা জামিলা খাতুন। তার জন্ম ১৯৪১ সালের ১৬জুন। তিনি ভোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বরিশালের ব্রজ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর তিনি কর্মজীবনে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান বর্তমান (সোনালী ব্যাংক লিমিটেড) এ যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদ হানিফ ন্যাশনাল অব পাকিস্তান ম্যানেজার হিসেবে আহসানগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ব্যাংকের প্রায় ৩০ হাজার টাকা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সদস্য বিহারীপুর গ্রামে আবুল হাশেম এর মাধ্যমে আরেক সদস্য ওয়াহিদুর রহমানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সপরিবারে তিনি আত্রাই রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলি ব্রাদার্স কলোনি এলাকায় বাস করতেন। হানিফ স্বাধীনতার স্বপক্ষে তার জোরাল অবস্থান ছিল। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন।
রাজাকারদের মাধ্যমে পাক সেনা ক্যাম্পে খবর গুলি পৌঁছে যেত, যার ফলে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও থাকা মানুষ হিসেবে টার্গেটে পরিণত হন। তিনি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এক মেয়ে ও দুই ছেলে সহ আত্রাই থেকে চার কিলোমিটার দূরে সিংড়া গ্রামে মকবুল চেয়ারম্যানের বাড়িতে তাদের রেখে যান।
এসময় তিনি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকতেন। ২৫ মে ১৯৭১ এ তিনি স্ত্রী সন্তানদের সাথে দেখা করতে এসে শহীদ হন। মোহাম্মদ হানিফের স্ত্রী রাজিয়া বুলবুল একজন রতœগর্ভা। তিনি অতিকষ্টে সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। তার বড় মেয়ে ফাতেমা জোহরা ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক, বড় ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান সোনালী ব্যাংকের এজিএম, মেজো ছেলে মশীহুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, এবং ছোট ছেলে মাহবুবুর রহমান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভোলায় অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।