সর্বশেষঃ

লালমোহনে বর, কনের বাবা ও কাজীর জরিমানা

ভোলার লালমোহনে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মেয়ের বাবা, বর ও কাজীর ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃধা বাড়িতে এ বিয়ের আয়োজন হয়। এসময় থানা পুলিশ বর মোঃ শরীফ, কনের বাবা মোঃ শাজাহান মোল্লা, বরের চাচা মোঃ শহিদুল্লা ও কাজী সেজে বিয়ে পড়ানো ভূয়া কাজী মোঃ হেলাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমির কাছে নিলে ভূয়া কাজীর ২০ হাজার টাকা, বরের ৫ হাজার, বরের চাচার ৫ হাজার ও কনের বাবার ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্র্ডের মৃধা বাড়ির মোঃ শাজাহান মোল্লার ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে লিমা বেগমকে একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউসুফের ছেলে মোঃ শরীফের কাছে বিয়ে দেয়। বিয়ের জন্য ৮ম শ্রেণীতে পড়লেও মেয়েকে ১৮ বছর বানিয়ে জন্ম নিবন্ধন নেয় ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক তালুকদারের কাছ থেকে। মেয়ের বয়স কম থাকায় ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মিজান ও সংরিক্ষত ওয়ার্ডের মেম্বার জন্ম নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর না করলেও চেয়ারম্যান এ জন্ম নিবন্ধন দিয়ে দেয়। বিয়েও পড়ায় ভূয়া কাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন। তিনি ৮নং ওয়ার্ডের চরকচ্চপিয়া গ্রামের মাওঃ মোতাহার হোসেনের ছেলে। তার কোন কাজীর সনদ নেই। তিনি সেখানকাজর কাজীর সহকারী।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল হক তালুকদার জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েছিলেন কিনা অথবা মেয়ের বাবা ভূয়া জন্ম নিবন্ধন বানালেন কিনা তা জানতে চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।