নসিমন চালক থেকে কোষ্টগার্ড মাঝি

মাঝি থেকে অর্ধ কোটি টাকার মালিক সবুজ ॥ পর্ব-১

ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশার রিক্সা চালক সেরাজল হক (৭০)। রিক্সা চালনাকেই পেশা হিসেবে গ্রহন করেন। তার চার পুত্র আলমগীর, জামাল, রহিম ও কামাল। বর্তমানেও এরা চার ভাই একই পেশায় নিয়োজিত আছেন বলে জানায় সেরাজল হক। চার ভাইয়ের আলাদা পরিবার থাকলেও কেউ তেমন অর্থ ভিত্তের মালিক হতে পারেননি। সততা ও নিষ্ঠাকে প্রাধান্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা। তবে ইলিশায় চার শন্তানের কারো সাথেই থাকেন না সেরাজল হক, সে ছোট একটি ঘর করে বৃদ্ব স্ত্রীকে নিয়ে রাজাপুরের ৬ নং ওয়ার্ডে থাকেন। নিজের সততাকে ধরে রাখতে নিজে বাড়ি করার ক্ষমতা না থাকায় পুর্ব কন্দ্রকপুর নূরানীও হাফেজিয়া মাদ্রাসার জমিতেই তাকে ঘর তুলে থাকার অনুমতি দেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এমনটি জানান সেরাজল হক।
সেরাজল হকের ২য় শন্তান জামাল ড্রাইভার এর আর্থিক সামান্য উন্নতি ঘটলেও অডেল টাকার মালিক বনেছেন জামাল পুত্র সবুজ। সবুজও ৫/৬ বছর আগে একজন নসিমন ড্রাইভার ছিলেন বলে জানান তার দাদা সেরাজল হক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সবুজ নসিমন চালনার পাশাপাশি পুলিশ ও কোষ্ট গার্ডের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সোর্স থেকে নসিমন চালনা বন্ধ করে হয়ে যায় কোস্ট গার্ডের মাঝি। মাঝি হিসেবে কাজে যোগদান করার পর পরেই টাকার মুখ দেখতে শুরু করেন সবুজ। টাকার অহঙ্কারের বসবতি হয়ে সবুজ প্রথমেই যে অশুভ ও অনৈতিক কাজ করেন তা হলো স্থানীয় কিছু সমাজপতীদের বস করে তার এক শন্তানের জননী স্ত্রীকে ২,৫০,০০০ টাকায় রফা দফা করে তালাক প্রদান করেন। তালাকের পরে তার ছেলে শন্তানটি মায়ের জিম্মায় দেন সমাজকর্মীরা। কিছু দিন একাকী থাকলেও টাকার লোভ দিয়ে সবুজ তার আপন এক মামাতো বোন নুপুরকে বিবাহ করেন। মামাতো বোনের ঔরসেও তার একটি ছেলে শন্তান জন্ম নেয়ার কিছু দিন পরে পুর্বের মত অর্থব্যায় করে ২য় স্ত্রী নুপুরকেও তালাক দেন সবুজ।
পাঠক তাহলে বুঝাগেল কোষ্ট গার্ডের মাঝি হিসেবে সুযোগ পাবার পরে দাপটে অর্থ কামানো, স্ত্রী তালাকের পথ সবুজের জন্য ছিল অত্যান্ত নিরাপধ ও নারী বিলাসি আনন্দের হাতিয়ার এমনটাই ধারনা করেন স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগী পরিবার দুটো।
এদিকে কাচিয়া, ধনিয়া, ইলিশা, রাজাপুর, কালিগঞ্জ এর শত শত জেলে, মাঝি, ঘাট মালিক ও মাছ ব্যাবসায়ীদের কাছে নৌ-বাহিনী, নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড নয় আতঙ্কের অপর নাম হিসেবে সবুজই মাষ্টার মাইন্ড।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক জেলে মাঝি ও ঘাট মালিকদের কাছ থেকে জানা যায়, কোষ্টগার্ড মাঝি হিসেবে সবুজ হলো ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজ। সে কোন জেলেকে ধরে প্রথমে টাকার কথা হয়। পরিমানমত হলে সবুজ একাই যথেস্ট, না হলে ব্যাবহার করেন কোষ্টগার্ড। এবিষয়ে সবুজকে কল করলে সে রিসিভ করেনি বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে ভোলা কোষ্ট গার্ডের অপারেশন অফিসার ওয়াসিম আকিল (জাকি) ০১৭৬৯৪৪৩৩৩৩ কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রিয় পাঠক চোখ রাখুন ভোলার বাণীতে। সবুজের নানা অনিয়ম, অর্থ বাণিজ্য, দুর্নীতি সকল অপকর্মের কাহিনী তুলে ধরবো আগামী পর্বে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।