ভোলার রতনপুরে পরিবেশ দূষণ করছে হীরনের প্লাস্টিকের কারখানা

ভোলা জেলার সদর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত চালতাতলী এলাকায় হাবিবুর রহমানেরর প্লাস্টিক কারখানাটি হীরনের অনিয়ম দ্বারা নর্দমাতে পরিনত করার অভিযোগ উঠেছে। চালতাতলী এলাকায় ভোলার বাণীর টিম অনুসন্ধানে গেলে অনিয়মের অনেক চিত্র ভেসে ওঠে গোপন ক্যামেরায়।
স্থানীয়রা জানায়, এ এলাকাটি একটি সময় সতেজ পরিবেশে পূর্ণ ছিল। কিন্তু হাবিবুর রহমান হীরনের প্লাস্টিক ঘর দ্বারা এখন নিয়মিত এ এলাকাটি দূষিত হচ্ছে। তার নেই কোন নির্ধারিত জায়গা। নেই কোন বিধি-বিধান। বিভিন্ন স্থান হতে তার লোকেরা প্লাস্টিকের বোতল, কাঁচের বোতল, ঔষধের বোতল সহ রাস্তায় ফালানো বিভিন্ন অপদ্রব্য এনে জমা করে এই জায়গায় রাখে। বোতলে থাকা অপদ্রব্য দীর্ঘদীন থাকার কারনে তা পঁচে দূর্গন্ধ তৈরি করে এবং তা বাতাসের সাথে মিশে মানুষের দেহে নানা রোগ জীবানু তৈরি করে।
তারা আরো জানায়, ঐ প্লাস্টিক কারখানার আশেপাশে রয়েছে বেশ কিছু পুকুর, হেফজখানা, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রয়েছে নানা প্রতিষ্ঠান। তাদের বিক্রির অযোগ্য অনেক প্লাস্টিক ও বোতল তারা পুকুরে ফেলে। ফলে ঐ পুকুরের মাছ সহ সকল জলজ প্রাণীগুলো মরে যায়। স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীগুলো এই দূর্গন্ধ নিয়েই নিয়মিত স্কুলে যেতে হয়। তাকে একাধিক বার এ বিষয়ে বললেও সে তা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন দূর্ষিত করছে পরিবেশ।


তাছাড়া হাবিবুর রহমান হীরন সরকারি মেইন রোডকে তার মালামাল দ্বারা আবদ্ধ করে রাখার চিত্র ও ভেসে ওঠে। সেটি রতনপুর থেকে ভোলা সদরে আসার একমাত্র রাস্তা হওয়ায় এবং রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় এই জায়গাটিতে যানযটের দূর্ভোগ ও পোহাতে হয় এলাকাবাসীর। দুই মাস পূর্বেও এই জায়গাটিতেই দূঘর্টনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপরে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী হীরনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার প্লাস্টিক দ্বারা আমার এলাকার কোন সমস্যা হয় না।
এ বিষয়ে ভোলা জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, পরিবেশ সংরক্ষনের বিরুদ্ধে কেউ যদি কোন অনিয়ম করে তবে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।