দৌলতখানে দু’পক্ষের সংঘর্ষ মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি সদস্যসহ আহত-১০

ভোলার দৌলতখানে রাস্তায় পিকআপকে সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত হয়েছে তিনজন। বাকীরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন। গুরত্বর আহতরা হলেন সৈয়দপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমীন(৭০), ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া (৬২) ও পিকআপ ড্রাইভার জুয়েল (২৫)।

বৃহস্পতিবার উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডে ও চরখলিফা ৭ নং ওয়ার্ডে দফায় দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন ড্রাইভার জুয়েল পিকআপ নিয়ে দৌলতখানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সৈয়দপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আশকর পাঠোয়ারী বাড়ি এলাকায় আসলে রাস্তায় থাকা দুলাল নামের এক পথচারীকে দেখে পিকআপের হরেন দেন।

এনিয়ে ড্রাইভার জুয়েল ও দুলালের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার খবর পেয়ে দুলালের পার্শ্ববর্তী বাড়ির নুরে আলম ও তার ভাই বাবুল এগিয়ে এসে জুয়েলকে মারধর করে।

খবর পেয়ে জুয়েল এর এলাকার আত্মীয় স্বজনরা ছুটে এসে জুয়েলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে উভয় এলাকার লোকজনের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডার রহুল আমীন উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমীন উপজেলার চরখলিফা ৭ নং ওয়ার্ড দিয়ে দৌলতখানে আসার পথে জুয়েলের লোকজন তাদেরকে হামলা করে।

এবিষয় পিকআপ ড্রাইভার জুয়েল জানান, দৌলতখানে আসার পথে সৈয়দপুর ১ নং ওয়ার্ড এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় পথচারী দুলালকে দেখে হরেন দেই।

এনিয়ে দুলালের সাথে আমার বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে নুরে আলম ও তার ভাই বাবুল এসে আমাকে মারধর করলে আমার মাথা পেটে যায়। বর্তমানে আমি দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি এবং আমার আত্মীয় স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তারা হামলার স্বীকার হন।

অন্যদিকে দুলাল জানান, আমি এবং আমার ছেলে রাস্তায় বের হই। এরমধ্যে জুয়েল পিকআপ নিয়ে এসে আমার গায়ে ধাক্কা দেয়। এতে আমি জুয়েলকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে গেলে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ করে।বিষয়টি টের পেয়ে নুরে আলম ও বাবুল এগিয়ে এসে জুয়েলকে শান্ত করে। আমরা জুয়েলকে মারধর করেনি। সিরির সাথে ধাক্কা লেগে জুয়েল এর মাথা পেটে যায়। এসময় জুয়েলের এলাকার লোকজন এসে আমার বাড়িতে হামলা করে। এতে আমার পরিবারের ৪ সদস্য আহত হয়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

এ বিষয় ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা রুহল আমিন ও ইউপি সদস্য নান্নু জানান, ঘটানার সময় আমরা আছরের নামাজ পরে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখি জুয়েল ও দুলালের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমরা উত্তেজনা পরিবেশকে শান্ত করার চেষ্টা করি। পরে ঘটনা নিয়ন্ত্রন হলে সবাই জে যার মত চলে যায়। এরপর আমরা সন্ধার পর রিক্সা যোগে দৌলতখানে উদ্যোশে রওয়ানা হই। চরখিলফা ৭ নং ওয়ার্ডের পোনারকান্ধি নামক স্থানে পৌঁছালে। জুয়েলের আত্মীয় স্বজনরা পথরোধ করে আমাদের দুজনকে হামলা করে।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।