সর্বশেষঃ

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতির বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির প্রেক্ষাপটকে শুরু করতে চাই বাংলাদেশের গোড়া পত্তন থেকে। প্রধম দিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পর ছিল যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশের পুনঃগনের যুগ এবং সেই সাথে অর্থনীতির ক্ষেত্রে গৃহিত পদক্ষেপ ছিল মিশ্র অর্থনীতির ব্যবস্থা। অপরদিকে বিশ্বের অনান্য উন্নত ও উন্নয়নমূখী দেশগুলিতে ছিল নব্য উদারবাদী অর্থনীতির যুগ। পাশাপাশি সোভিয়েত রাশিয়া ও চিন সহ কয়েকটি দেশে ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিক ব্যবস্থা।
৭০ এর দশকে তৎসময়ে পুজিবাদী অর্থনীতির পাশাপাশি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির পরীক্ষার দ্বন্দ্বের ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্ত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক সামরিক ন্সায়ুযুদ্ধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। সেই সময় আমেরিকার নিউ হ্যামশায়ারে বিশ্বের পুজিবাদী দেশগুলোর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পুজিবাদী দেশগুলিরসহ অবস্থান এর পথ খোজা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃটেনে উডস কনফারেন্স নামে এক বৈঠক এর ফলে গড়ে উঠে আই.এম.এফ বিশ্বব্যাংক এর মতো প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে অনুন্নত বিশ্বের বিকাশশীল পুজিবাজার এর স্বার্থকে প্রাধান্য প্রদান করার মধ্য দিয়ে এক নব্য উদারবাদী অর্থনীতির ভীত গড়ে উঠে। সেই সময় পাকিস্তানে বিশ্বব্যাংক ও আই.এম.এফ এর সহযোগিতায় নব্য পুজির উদারবাদী অর্থনীতির উদভব ঘটে। গড়ে উঠে নব্য ধনিক শ্রেণী, আদমজী, বাওয়ানট, ইসপাহানী মতো বড় শিল্পগোষ্ঠী। তারা পূর্ব বাংলার পাট, চা, চামড়া কাগজ সহ কৃষি পন্যের কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানী শিল্পগোষ্ঠীর অধিকাংশ শিল্প কারখানা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। যার ফলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্রিয়ভাবে উক্ত শিল্প কারখানার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়।
৭০ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঢাকায় বিশ্বব্যাংক এর অফিস চালু ছিল। পরবর্তীতে তা বন্ধ হয় নাই। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক এর সদস্য না হলেও, তখনকার বিশ্বব্যাংক এর প্রেসিডেন্ট ম্যাকনামারা বাংলাদেশ সফর করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহাম্মেদ এর সাথে সাক্ষাত করেন। উক্ত বৈঠকে পরিকল্পনা কমিশন এর ডেপুটি চেয়ারম্যান ডঃ নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জনাব নূরুল ইসলাম জানান যে, বিশ্বব্যাংক এর সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে তার সাথে আলোচনা হয়। বিশ্বব্যাংক প্রধান ম্যাকনামারার সাথে বৈঠকের ৬ মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ১৭ আগষ্ট বিশ্বব্যাংক ও আই.এম.এফ সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ।
১৯৭৩ সালের মার্চে বিশ্বব্যাংক এর নেতৃত্ব দেয়া দাতা দেশগুলির কনসোটিয়াম এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সাথে বৈঠক হয় ঢাকায়। বৈঠকে দাতাদেশগুলি যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশ পুনঃগঠন এর জন্য ঋণ সুবিধা পেতে হলে, ইতিপূর্বে পাকিস্তানকে দেয়া ঋণ এর দায়ভাগ নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সরকার ঋণ এর দয়ভার পরিশোধ এর অপারগতা জানান। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক এর চাপের মুখে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে হয়। বিশ্বব্যাংক এর অব্যাহত চাপের মুখে ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু নিজেদের দাবীগুলো ত্যাগ করে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভূ-সীমানার গৃহিত প্রকল্পসমূহের ঋণের দায় বহনে সম্মতি জানান। বিশ্বব্যাংক এর হিসেবে বাংলাদেশের দায়ের পরিমান ছিল ১২০০ মিলিয়ন ডলার। বঙ্গবন্ধু সরকারের চাপাচাপিতে বাংলাদেশ এর ঋণ এর দায়ভার কমিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৫৬.৬ মিলিয়ন ডলার দাড়ায়। এভাবে নব্য উদারবাদী অর্থনীতির প্রবর্তকদের চাপিয়ে দেয়া ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। এর ফলে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিশ্র অর্থনীতির নীতির পাশাপাশি বিনিয়োগ এর সর্বোচ্চ সীমা ২৫ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকায় উন্নিত করা হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ডিমনিটাইজেশন বা মুদ্র সংকোচনে হাত দেয় এবং ৫৮ শতাংশ হারে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটায়। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর আমলে ৩৪০ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের বৈদেশিক সাহায্য বাংলাদেশ লাভ করে। ইতিপূর্বে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেন। যার ফলে শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে সোভিয়েত মডেলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধিন, সোভিয়েত কাঠামোকে অনুসরন কারার চেষ্টায় ব্রত ছিলেন। যার ফলে ভারত ও সোভিয়েত কাঠামোর আদলে দেশে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরী করে অর্থনীতি পুনগঠন এর উদ্যোগ নেয়া হলে সোভিয়েত কাছ থেকে নানামুখি সহযোগিতা পান। বিশেষ করে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ চট্টগ্রাম বন্দর চালু করার ব্যপারে সোভিয়েথ সহযোগিতা অন্যতম।
বঙ্গবন্ধুর মিশ্র অর্থনীতির ফলে শিল্প খাতে রাষ্ট্রিয় মালিকানার চরিত্রের কারণে বাংলাদেশে নব্য উদারবাদীদের নানামুখী এজেন্ডা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পরেছিল। এই জন্যই বিশ্বব্যাংক ও আই.এম.এফ এর পক্ষ থেকে ব্যক্তি খাতের বিকাশের চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে বলা যায় বঙ্গবন্ধুর আমলের অর্থনীতিতে একটি মিশ্ররূপ ধারন করেছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক নীতির ধারাবাহিকতা এখানে বর্তমান যেমন- রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক-বীমা, চালু রাখ, জুট, স্টীল, ক্যামিকেল সার কারখানা, সুতাকল কর্পোরেশন এর রাষ্ট্রীয় মালিকানায় এখনো চলমান।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর পরবর্তী সরকারগুলি তথা জিয়া, এরশাদ আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুরোটাই হলে নব্য উদারবাদী অর্থনীতি। বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সরকার জিয়া, এরশাদ অবাধ বানিজ্য এর স্বার্থে বাজার এর উপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ তুলে দেন। অবাধ বাণিজ্য এর স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সেবামুলক তৎপরতা বন্ধ করে দেন এই সরকারগুলি। মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে ভুর্তকী প্রদানও বন্ধ করে দেন জিয়া, এরশাদ সরকার। এর মাধ্যমে এক কোটির পুজির বিকাশ এর ধারনাকে সামনে এনে একটি অসম ধনবাদী অর্থনীতিকে সামনে নিয়ে আসেন তারা। পুরো ৮০ দশক জুড়ে জেনারেল এরশাদ এর ক্ষতার আমলে বৈশ্বয়িক একচেটিয়া পুজির অনুকুলে চলত থাকে দেশ। ইতিপূর্বে ১৯৭৬ সালে জিয়া সরকার পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা দাবী পরিত্যাগ করেন। একই বছর ডিসেম্বরে জিয়া এক সরকারী ঘোষণায় পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া রাষ্ট্রয়াত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাকিস্তানি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণভাবে জিয়ার ব্যক্তিগত আগ্রহে হয়েছে বলে জানা যায়। এর ফলে জিয়ার আমলে পাকিস্তানি মালিকরা ঢাকায় এসে নিজেদের পরিত্যক্ত সম্পতি বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যায়। এতে করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাহুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে চলে যায়। এই সময় জিয়া মানি ইজ নো প্রবলেম স্লোগান এর ফলে রাষ্ট্রায়াত্ব বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উদার ভাবে ঋণ প্রদান এর মাধ্যমে ব্যক্তি খাত সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ নেন। এর ফলে এর মধ্য দিয়েই খেলাপি ঋণ এর সমস্যার সুচনা ঘটে।
বর্তমান বিশ্বায়ন ও বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে খো যায়, অর্থনীতিতে অতি মাত্রার উদারিকরণ প্রক্রিয়ার ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিনিয়োগ বিকাশ এর ক্ষেত্রে কতগুলি পদক্ষেপ গ্রহণ বা বাইরের বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে। একই সাথে উৎপাদনশীলতাকে বজায় রাখা ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক সরকারী ও বেসরকারী মেঘা ও মাঝারি প্রকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্প্রসারণ এর ফলে দেশে শিল্প বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নতি লাভ করে। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা ব্রীজ এর মতো মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি, পায়রা বন্দর প্রকল্প গ্রহণ, চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহন এর ফলে দেশের রপ্তানি ও আমদানী বাণিজ্য এর সহজলভ্য করণ এর পথ প্রশস্ত হওয়াতে দেশজ উৎপাদনের গতি বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধিকতর উচ্চাবিলাশী অর্থনৈতিকক কর্মসূচী বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হওয়ার প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন অন্যতম। বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১ এর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২০২১ নামে দুই দলিলে এই লক্ষ ও উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্টভাবে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। এই লক্ষ অর্জনে ঐ সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নিয়ে যেতে হবে ৮ শতাংশে। এর জন্য বিনিয়োগ এর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দেশজ উৎপাদনের শতকরা ৩৪.৪ ভাগ। যা এখন রয়েছে ৩২.২৭ শতাংশে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারের উন্নয়ন পরীকল্পনা এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের গভীর প্রচেষ্টা দেখা যায়। যার একটি উদাহরণ হতে পারে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বা এডিপি। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল দেড় লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিদেশী বিনিযোগ বাড়াতে হাতে নেয়া হয়েছে আইনি ও প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারের উদ্যোগ।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাধা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এইক সাথে জমির সমস্যাদূর করতে দেশজুড়ে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন এর পরিকল্পনা ইতিমধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ, বিনিয়োগ বিকাশের ক্ষেত্রে উদ্যোগ বাস্তবায়নের ইংগিত দেয়। বিনিয়োগ বিকাশের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা সঠিক ট্রাকে আছে বলে আমি মনে করি। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সরকারী উদ্যোগ নিয়েছে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, বিদ্যুৎখাতের উন্নয়ন, গ্যাসের চাহিদা নিশ্চিত করার জন্য মহেশখালিতে আমদানীকৃত তরলি করণ গ্যাস, এল.এন.জি গ্যাস এর টর্মিনাল নির্মাণ ও পাইন লাইন এর কাজ সম্পন্ন করা। এছাড়া সড়ক ও রেল পথ, মিনা যোগাযোগ এর ব্যবস্থা উন্নয়ন এর জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ। যেমন ঢাকা বিমান বন্দর সম্প্রসারণ টার্মিনাল নির্মান এর কাজ আরম্ভ করা। কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আর্ন্তাতিক বিমান বন্দরে রুপান্তরিত করা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর সম্প্রসারণ ও নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্প্রসারণ করা। ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ ও নির্মাণ কাজ শুরু করা অন্যতম কাজ বলা যায়।
বাংলাদেশের রপ্তানি খাত এর অন্যতম হলো তৈরী পোশাক খাত। এই শিল্পে এখন ৩০ লাখ শ্রমিক কাজ করে, যাদের বেশির ভাগই নারী। এই খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ার কারণে দক্ষ কর্মীর চাহিদাও মজুরী ততই বাড়ছে। বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজিকরণ এর বিষয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বছর দুয়েক আগেও নতুন কারখানা নির্মাণ এর জন্য জমি প্রাপ্তি ছিল দেশেল উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় উদ্যোগের বিষয়। সেই সংকট কাটাতে কাজ করছে ভেজা। সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ নিয়ে। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে দেশের ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন শিল্প গড়ে উঠবে। নতুন করে কাজ পাবে এক কোটি মানুষ। গতিশীল হবে দেশজ অর্থনীতি লক্ষ পুরণে এগিয়ে যাবে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উন্নিত হওয়ার অভিপ্রায়।

তথ্যসূত্র : আনিম রহমান এর বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি বুলেটিন ও বিনিয়োগ বিকাশ প্রেস ইনষ্টিটিউট বাংলাদেশ।

লেখক : ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা
সভাপতি
ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page