সর্বশেষঃ

দৌলতখানে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভোলার দৌলতখানে রিপন (২৫) নামের এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (০২ মে) বেলা ১১টায় উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিদারউল্লাহ গ্রামের গজনবী ব্যাপারীর বাড়িতে এঘটনা ঘটে। আহত কলেজ ছাত্র রিপন (২৫) বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের ৩৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কলেজ ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। রিপন ওই ওয়ার্ডের গজনবী ব্যাপারীর ছেলে এবং বাংলাবাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
হাসপাতালে রিপনের মা অহিদা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী বাড়ির মফিজল (৮০) গংদের সাথে আমার ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার গ্রাম্যভাবে শালিস বৈঠক হয়। ঘটনার দিন শনিবার বেলা ১১ টায় আমার ভোগ দখলীয় জমিতে মফিজল গংরা জোরপূর্বক-ভাবে গাছের ডাল দিয়ে বাড়ীর রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে আমার বড় ছেলে রিপর ও মেঝো ছেলে আব্দুর রহমান বাঁধা দেয়। এতে মফিজল , শাহাবুউদ্দিন, আলমগীর ,মোস্তফা ও ইয়াসিন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলে রিপনকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় রিপনকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তী করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করে।বর্তমানে রিপন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রিপন অতান্ত নম্র ও ভদ্র ছেলে। তাকে মারধর করার বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এর সঠিক বিচার দাবী করছি আমরা।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মফিজল জানান, গজনবী গংদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন আমার শালক আলমগীর জমিতে গাছের ডাল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে আলমগীরের সাথে রিপনের বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডা একপার্যায়ে আলমগীর ও রিপনের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলার রহমান জানান, এঘটনায় অহিদা বেগম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।