জীবনের ডায়েরী থেকে গল্প সমগ্র : পর্ব-৬০

[ ড. টি. এন. রশীদ ]
(গত পর্বের পর) : প্রতিভা : প্রতিভা মানব জীবনের পরিপূর্ণ চাবিকাঠি। বিশ্বে যা কিছু কল্যাণকর করে সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পিছনে কাজ করেছে প্রতিভাবানদের অবদান। অবস্থার পরিস্থিতি যত জটিল হোক না কেন প্রতিভার যাদুস্পর্শে হয়ে উঠে সরল, সহজ, কল্যাণের অনুকূল। সেজন্যই যুগে যুগে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যেমন মানব সভ্যতা বিকাশে অবদান রেখেছেন তেমনি তারা অপরিসীম সম্মানও লাভ করেছেন।
প্রতিহিংসা ও অন্যায়ভাবে প্রতিভাকে দাবিয়ে বা বিলীন করে দেওয়া যায় না। প্রতিভা এমন একটি স্বতন্ত্র গুণ যা সময় সুযোগে প্রজ্জলিত অগ্নি শিখার ন্যায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এক সময় সে তার ব্যক্তিস্বত্ত্বা নিয়ে সম্মুখ পানে এগিয়ে যায়। অনেক সময় পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হলেও সেটা ক্ষণস্থায়ী।
প্রতিভার সাহায্যে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা যায়। প্রতিভা হলো বিস্ময়কর শক্তি। যা অলৌকিক দান বলে বিবেচিত হয়। প্রতিভার সাফল্যে উৎস প্রতিভার স্পর্শে লোহা যেন সোনা হয়ে উঠে। প্রতিভার গুণে সকল কর্মে বয়ে আনে আশানুরূপ সাফল্য। প্রতিভাকে সাফল্যের নির্ভরশীল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকে প্রতিভাকে বিধাতার মহান প্রাণ হিসেবে গুরুত্ব দেন। ফলে প্রতিভার স্পর্শে যে সাফল্য আসে তন্মধ্যে অনেকে আলোক বর্তিকার সন্ধান খুঁজে পান। যা সুমহান সম্ভ্রমশীল।
প্রতিভাশীল মানুষকে ব্যতিক্রমধর্মী মনে করা হয়। প্রতিভা সাধারণ মানুষের চেয়ে পৃথক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে তোলে। প্রতিভা নিজেই সাবলম্বী উৎসাহ উদ্দীপনায় সদা জাগ্রত থাকে। আমরাও প্রতিভার মহান সম্মানে সম্মানিত। কিছু কিছু প্রতিভা একান্ত নিজস্ব ও স্বতন্ত্র যা বিরল যেমন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিভা, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের প্রতিভাকে তুলনা করা চলে। নজরুল ইসলাম নন মেট্রিক হয়েও যে প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আর প্রতিভা কখনো থেমে থাকে না তা কারো অজান্তে প্রকাশ পেয়ে যায়। এ জন্য প্রতিভাকে কেউ প্রতিবন্ধকতায় দাবিয়ে রাখতে পারে না। এমনকি রাখাও সম্ভব না।
(চলবে——)
