ভোলায় তারুণ্য উৎসব ও গ্রাহক সেবা পক্ষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলায় তারুণ্য উৎসব ও গ্রাহক সেবা পক্ষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ভোলা শাখা কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কোস্ট ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক টিম লিডার রাশিদা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তুষার কান্তি দে, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আয়শা খাতুন, প্রথম আলোর ভোলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্যাহ। অনুষ্ঠানে ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৩০ জন তরুণ উদ্যোক্তা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রতিদিনের সংবাদ ও ভোলার বাণী প্রতিনিধি শরীফ হোসাইন, বাংলাবাজার প্রত্রিকা ও আজকের ভোলার প্রতিনিধি শাহরিয়ার ঝিলন, রেডিও মেঘনার প্রতিনিধি এবং এনজিও কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প, সমস্যা, সম্ভাবনার নানা দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মুলপ্রবন্ধন উপস্থাপন করেন কোস্টের আঞ্চলিক কমর্সূচি সমন্বয়কারী আইয়ুব আলী। তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাংস ব্যবসায়ী ওসমান গনি, পেঁপে ব্যবসায়ী হাসনাইন, মাছ ব্যবসায়ী ফজলে রহমান, ঘাস ও সার ব্যবসায়ী হাসনাইন, সবজী চাষী শাহাদাত হোসেন, মোঃ মিজান, নারী উদ্যোক্তা রুমা বেগম, লিপি আক্তার প্রমূখ।
তরুণ উদ্যোক্তা বক্তারা বলেন, উদ্যোক্তা হতে হলে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। নিজস্ব স্বল্প পুঁজি দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। প্রশিক্ষণসহ টেকনিক্যাল বিষয়ে দক্ষ হইতে হবে। এবিষয়ে সরকারি-বেসরকারী সহায়তা প্রয়োজন। তরুণদের উদ্যম, উদ্ভাবনী চিন্তা, এবং আত্মনির্ভরতার চেতনা নিয়ে কথা বলা এবং অভিজ্ঞতা শুনতে আজকের আয়োজন। ফলে অন্য তরুন-তরুণী অনুপ্রাণিত হবে। আমাদের দেশের বড় শক্তি তরুণ প্রজন্ম। যদি এই তরুণ প্রজন্ম উদ্যোগী হয়ে দেশের অর্থনীতি আরোও শক্তিশালী হবে।
তারা আরো বলেন, আমাদের গ্রামের তরুনরা যদি স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে কাজ শুরু করেন। যেমন- হাসঁ-মুরগী, সবজি, মাচ চাষ, বনজ, ফলজ ও ঔষধী চারা রোপন, হস্তশিল্প, খাদ্য প্রকিয়াজাতসহ আধুনিক বাজারজাতকরণ।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, যে তরুন স্বপ্ন দেখে, চেষ্টা করে এবং হাল ছাড়ে না, লেগে থাকে। তিনিই একদিন সফল উদ্যোগক্তা হয়ে ওঠেন। একজন তরুণ নিজেই নিজের এবং আরো কয়েকজনের কর্সংস্থান তৈরি করতে পারবে। তরুণদের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবহারে অনেক অনেক সফলতার গল্প রয়েছে। তাই আমরা আশা করি কোস্টসহ যে কোন এনজিও এবং সরকারিভাবে সহজ শর্ত এ ঋণ নিয়ে তরুন প্রজন্ম এদিয়ে যাবো।
প্রধান অতিথি কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কামরুল হাসান বলেন, আমাদের সমাজের তরুণরা চাকুরী পিছনে না দৌড়িয়ে নিজে আত্ম কর্মসংস্থানের দিকে মনোনিবেশ করে তা হলে নিজে যেমন সাবলম্বি হতে পারেন। ঠিক তেমনি তার প্রতিষ্ঠানে আরো অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই সকলকে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তার জন্য যে কোন সময়ে; যে কোন বিষয়ে আমার অফিস এবং মোবাইল ফোনে সহযোগিতা নিতে পারবেন। আমার অফিসে সুযোগ না থাকলেও আমি অন্য অফিসে লিংক করিয়ে দিতে পারবো।
			
		
	
							
	
					
					
					
	
		
		
		
		
		
		
		
		
		
		
	