গণহত্যা চালিয়ে হাসিনা কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল : মেজর হাফিজ
ভোলায় মারধর করে টাকা-মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ইয়ামিন হোসেন ॥ ভোলা সদর উপজেলার উত্তর বাপ্ত ১নং ওয়ার্ডের মোঃ নুরুউদ্দীন নামে এক ব্যক্তি মৌচাক বেকারির সেলসম্যান কে মারধর ও নগদ ৩২ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামাল ও হানিফ এর বিরুদ্ধে। গত রবিবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার সময় ভোলা সদর উপজেলার সদর হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত মোঃ নুরুউদ্দীন ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ১ নং ওয়ার্ডের মোঃ মোশারেফ হোসেন সিকদার এর ছেলে।
আহত মোঃ নুরুউদ্দীন সাংবাদিকদের কে জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে মৌচাক বেকারির সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত আছি। আমি দীর্ঘদিন ধরে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন দোকানে বেকারির সামগ্রী সেলস করে থাকি। তারে ধারাবাহিকতায় আমি ভোলা সদর হাসপাতালের সামনে বেশ কয়েকটি দোকানে বেকারির প্রোডাক্ট বিক্রয় করি। আমি দোকানদার কামাল এর কাছে ১০৬১১ টাকা পাওনা আছি। এবং আমি একই স্থানের হানিফ এর কাছে ৩৪৫৯ টাকা পাওনা আছি। আমর পাওনা টাকা গুলো তাদের কাছে চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি বলে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে। তাই আমি তাদের দুইজনকে বেকারির প্রোডাক্ট দেওয়া বন্ধ করে দেই।
গত রবিবার আমি ভোলা সদর হাসপাতালের সামনে বেকারির পোডাক দিচ্ছি। তখন কামাল ও হানিফ আমার গাড়ির সামনে এসে আমাকে গালমন্দ করিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা দুজন আমাকে শার্টের কলার ধরে অন্য একটি দোকানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। এবং আমার শার্টটি ছিড়ে ফেলে। এবং আমার কাছে থাকা ৩২ হাজার নগদ টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে আমাকে এই হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সিদ্দিক বাবচি সহ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদেরকে বলেন, মোঃ নুরুউদ্দীন অনেক ভালো ছেলে। আমরা দীর্ঘ বছর ধরে ওর মৌচাকের বেকারির পণ্যগুলো কিনে থাকি। গত রবিবার কামাল ও হানিফ মোঃ নুরুউদ্দীন কে যে ভাবে মারধোর করেছে তা ঠিক হয়নি। স্থানীয় আরো ৮ থেকে ১০ জন ব্যবসায়ি বলেন, মোঃ নুরুউদ্দীন এর উপর এই ধরনের নেক্কারজনক হামলা মানতে কষ্ট হয়।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায়, কামাল ও হানিফ নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা দুজন ভোলা সদর হাসপাতালের সামনে দোকান করে, তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট রেখে টাকা নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। কোম্পানির প্রতিনিধিরা টাকা চাইলে তাদেরকে ক্ষিপ্ত হয়ে মাইরধর করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মোঃ কামাল সাংবাদিকদের কে বলেন, মোঃ নুরুউদ্দীন এর সাথে হাতাহাতি হয়েছে। কিন্তু টাকা ও মোবাইল আমি নেইনি। নুরুউদ্দিন আমার কাছে টাকা পাবে, তবে যেই টাকা দাবি করে, এত টাকা পাবে না। অভিযুক্ত হানিফ বলেন, ডাক চিকার শুনে আমি গিয়েছিলাম কিন্তু আমি মোঃ নুরুউদ্দীনকে মারি নাই। মোঃ নুরুউদ্দীন আমার কাছে টাকা পাবে, তবে এত টাকা পাবে না। সে আমার কাছে ৩০০ টাকার মত পাবে। এই বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ মোঃ হাচনাইন পারভেজ সাংবাদিকদেরকে বলেন, মোঃ নুরুউদ্দীন বাদী হয়ে কামাল ও হানিফ এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
