লালমোহনে ১০ লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ, আটক-৫

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলায় পাচারের সময় ১০ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়েছে। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর পৃথক স্থানে মৎস্য দফতরের অভিযানে এসব চিংড়ির রেণু জব্দ ও পাচারের সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- পার্শ্ববর্তী তজুমদ্দিন উপজেলার মো. মিরাজ (২৪), মো. কবির (৩৫), মো. কামরুল (৩৩), মো. পারভেজ (২৫) এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার মো. ভুট্টো (৫০)। এদেরকে বুধবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমেদ আখন্দের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত ১০ টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর পৃথকস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত চিংড়ির রেণু জনসম্মুখে নাজিরপুর মৎস্যঘাট সংলগ্ন নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এ ছাড়া এই চিংড়ি রেণু পাচারের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিচালিত অভিযানে লালমোহন থানার এএসআই মো. বশির উদ্দিন, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মো. নেছার উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, তথ্য সংগ্রহকারী মো. নূরনবীসহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অবৈধভাবে চিংড়ি রেনু পোনা আহরণ ও পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, প্রায় প্রতিটি উপজেলায়ই অভিযান চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ভোলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অনেক জায়গায় অবৈধভাবে রেনু পোনা পাচার রোধে রেনু পোনা জব্দ করে অবমুক্ত করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় লালমোহন উপজেলায় প্রায় দশলক্ষ রেনু পোনা জব্দ ও অবমুক্ত করেন লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমেদ আখন্দ। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় তথা ভোলা জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।