তজুমদ্দিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মধ্য আড়ালিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রভাষক ও বাউবি- বিএস/বিএসএস প্রোগ্রাম সমন্বয়ক মাওঃ মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাওঃ মিজান বলেন, ৮ মে ২০২৫ ইং রোজ বৃহস্পতিবার দৈনিক আলোকিত সকাল, দ্বীপ্ত বার্তা সহ কয়েকটি মিডিয়ায় “তজুমদ্দিনে চাঁদার জন্য প্রভাষকদের মোটরসাইকেল আটকে রাখলেন অফিস সহকারী” শিরোনাম সংবাদটি আমার দৃষ্টিতে আসে। প্রকাশিত সংবাদে আমার অভিযোগের বরাত দিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ আমি কোথায়ও কোন লিখিত অভিযোগ দাখিল বা কোন সাংবাদিককে নিউজ প্রকাশের জন্য বলি নাই। আমার মোটরসাইকেল আটকিয়ে চাঁদা দাবির মতো কোন ঘটনা ঘটে নি। এছাড়া চাঁদপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওঃ কামাল মাহমুদকে কেন্দ্র স্থানান্তরের জন্য কোন টাকা প্রদান করিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, প্রকৃতপক্ষে ৪ মে ২০২৫ তারিখে চাঁদপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অধ্যক্ষ মাওলানা কামাল মাহমুদ, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুশফিকুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক মাওলানা নাসরুল্লাহ, সহকারি অধ্যাপক (ইংরেজি) শাহাবুদ্দিন, অফিস সহকারী মাওঃ ইউসুফ কামাল সহ আমি বাউবি বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামের ভর্তি ও হিসাব নিয়ে আলোচনায় বসি। এসময় হিসাব নিয়ে আমার সাথে ইউসুফ কামালসহ উপস্থিতিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই মুহূর্তে মাঠে রাখা আমার মোটরসাইকেলটি দেখতে না পেয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে মোবাইল ফোনে আমি ব্যাপারটি থানার ওসিকে জানাই। পরে দেখি ছেলেরা ক্রিকেট খেলতে অসুবিধে মনে করে মাঠের কোনে গাড়িটি সরিয়ে রেখেছে। এরপর আমি গাড়ি নিয়ে চলে আসি।
পরবর্তীতে আমাদের মাঝে মনমালিন্য দুর হয়ে গত কয়েকদিন যাবত ইউসুফ কামাল ও আমি মিলে বাউবির ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখি। কিন্তু এই সামান্য বিষয়কে পুঁজি করে একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অপচেষ্টা লিপ্ত হয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।