সর্বশেষঃ

ভোলায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও নারী ধর্ষক চক্রের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, অভিযুক্ত নারী লাঞ্ছিত

স্টাফ রিপোর্টার : ভোলায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও নারী ধর্ষক চক্রের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধনে বাঁধা দিতে এসে কথা-কাটাকাটির জের ধরে হামলার শিকার হলেন মানববন্ধনে অভিযুক্ত নাজমীন আক্তার। মঙ্গলবার ২৫ মার্চ বেলা ১২টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১২ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে’র সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন স্থানীয় নাইম নামে এক ভূক্তভোগী। এ সময় মানববন্ধনে অভিযুক্ত নাজমীন প্রেসক্লাবের সামনে এসে ওই মানববন্ধনের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরের শিকার হন ওই নারী। পরে সাংবাদিকদের সহায়তায় স্থান ত্যাগ করেন ওই নারী।

পরে মানববন্ধন করেন ভূক্তভোগী মোঃ নাঈম। এ সময় তিনি বলেন, আমরা একটি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস একজন নারী ধর্ষক চক্রের বিচারের দাবিতে রাস্তায় মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। চক্রটি দির্ঘ দিন ধরে নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অসহায় মানুষদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায় ও সামাজিক হেনেস্তা করে থাকে।

তিনি আরো বলেন, ভোলা সরকারি স্কুল গেট সংলগ্ন আমি একটি হোটেল পরিচালনা করে আসছি। সরোয়ার চক্রের মাষ্টার মাইন্ড সরোয়ারের কথিত স্ত্রী নাজমিন আক্তার আমার দোকানে আসে এবং আমার থেকে বাকী তে পন্য নেয়। যার পরিমান ১৪৮০ টাকা। সেই টাকার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করলে দেই দিচ্ছি বলে আমাকে ঘুরাতে থাকে। তারপর সরোয়ার গং কর্তৃক পরিচালিত অনলাইন প্রেসক্লাব সংস্থা নামে গত ১৯ মার্চ ২৫ ইং তারিখে ইফতার মাহফিলের আয়োজনের একটি কার্ড দিয়ে বকেয়া টাকা এবং কার্ড বাসা থেকে আনার জন্য অনুরোধ করে। তারপর আমি সরল মনে কালীবাড়ি রোড এলাকার ভদ্রপাড়ায় অবস্থিত তার বাসায় গেলে সরোয়ার ও তার সঙ্ঘবদ্ধ চক্র সেখানে ওত পেতে বসে থাকে। এসময় আমাকে দেখা মাত্রই তাদের মোবাইলে ভিডিও ধারন করতে শুরু করে এবং নাজমিন আক্তার তার মুখ বেঁধে আমাকে মারধর করে এবং পরবর্তীতে সরোয়ার সুমন আমাকে কান ধরে উঠবস করায় এবং এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় উপস্থিত মোবাইল সহ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে বাকী টাকার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায় টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ভিডিওটি দেশবানী ২৪ নামে একটি পেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আমরা এ বিষয়ে বিজ্ঞ ভোলা সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি, যার এমপি নং- ১৩৯/২৫। এ ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাছে এই প্রতারকদের বিচার দাবী করছি।

ঘটনায় অভিযুক্ত সরোয়ারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

অপর অভিযুক্ত নাজমীন বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। নাঈম আমার বাসায় গিয়ে আমাকে কূ-প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এই মানববন্ধন করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।