স্বপ্ন দেখেছিলাম

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),
অনেক, অনেক স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম
অনাদি অনন্ত যুগের কল্পনায়
কত ছবি আমি এঁকেছিলাম।
এমনি নতুন বছরের মত আমার হৃদয় ছিল
উত্তাল তরঙ্গ মালা
কথার কাঁকর ছড়ায়ে পথে সাজায়ে ছিলাম,
নবীন পূঁজার মালা।
সেদিন কত ফুলের বাসর ছিল
আসর গর ছিল ফুলের মাধবী রাতে,
বসন্তের মৌমাছিরা উড়ে আসত
কৃষ্ণচূড়ার শাখা প্রশাখার সাথে।
আজ আমি শূণ্য থালা হাতে করে
ঘুড়ে বেড়াই মানুষের দুয়ারে দুয়ারে
খালি সব মাঠ-ঘাট-বাড়ী-ঘর,
কিচু নাই, কিছু নাই সুধার ভান্ডারে।
যা-ছিল সবি নয়ে গেছে খালি ঘর পড়ে আছে
বসে আছি ঘরের দুয়ারে।
তবু আমি ঘুড়ে বেড়াই পৃথিবীর
প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত,
কেউ আমারে খোঁজে না,
কেউ আমারে দেখে না
আম বড় একা, আমি বড় ক্লান্ত।
পৃথিবীর এত হা-হা-কার মহাশূণ্য মহাকাল
মহা প্রলয় ধ্বনির মত আমার হৃদয় কাঁদে
ক্ষুধাতুরের মুখের গ্রাস হয়ে,
যুগে যুগে আমার হবে না ক্ষয়।
আমি ভাষার আখর হয়ে ভাসি
আমি কথার জ্বালা হয়ে জ্বলি,
কল্পনার উর্ধ্বে আমি চলি
আমায় বলতে না বললেও বলি।
তোমরা আমাকে বলতে দাও, লিখতে দাও
অসহায় নিপিড়িত তাপিত ভূষিত জনের গান,
সেই দিন, সেই দিন হবে আমার
অশান্ত হৃদয়ের অবসান।