বিষু সভাপতি, সজল সম্পাদক
ভোলায় মোনালিসাগলি মন্দিরের নতুন কমিটি গঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলা জেলার শতাধিক মন্দির সংশ্লিষ্ট এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বিদের নিজস্ব অর্থায়নে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতায় উন্নয়ন ঘটলেও সদর উপজেলাধীন শহরের মূল কেন্দ্রস্থল সদর রোডস্থ বাংলাস্কুল মোড় সংলগ্ন দেবেন্দ্র কাহালী লেনে (মোনালিসা গলি) অবস্থিত শ্রী শ্রী কালি মাতা ও শ্রী শ্রী দূর্গা মাতার মন্দিরটি রয়েছে একেবারেই অবহেলিত।
১৯৬৫ সালে স্বর্গীয় অনুজ কুমার কাহালী মহাশয়ের দানকৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি এতটাই অবহেলিত যে বাঁশকাঠ দিয়ে ঠেক দিয়ে রাখতে হয় মন্দিরের ভাঙ্গা টিনের চালগুলো। অবশেষে অনেক কালক্ষেপন হলেও ভোলা শহরের মাঝখানে অবস্থিত মন্দিরটির করুন অবস্থার পরিবর্তন করার লক্ষে এবার নবীন-প্রবীনদের মিশেলে গঠন করা হলো একটি নতুন কমিটি। অত্র এলাকায় বসবাসকারী সকল স্তরের সনাতন ধর্মালম্বিদের উপস্থিতিতে গত ২৯ নভেম্বর-২৪ এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সভায় উপস্থিত সকলের মতামত পর্যালোচনা করে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত চুড়ান্ত সভায় সকলের সম্মতিক্রমে গঠিত হয় একটি নতুন কমিটি।
এডভোকেট মৃনাল চক্রবর্তী (বিষু) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে নবগঠিত কমিটির সভাপতি পদে এডভোকেট মৃনাল চক্রবর্তী (বিষু) ও সাধারণ সম্পাদক পদে ব্যাংকার সজল কুমার দেবনাথসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করেন ভোলা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডস্থ পৌরবাপ্তা এলাকার শ্রী শ্রী কালিমাতা ও রাধাগোবিন্দ মন্দিরের সভাপতি ও ভোলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী অবিনাশ নন্দী।
তিনি কমিটি ঘোষণার প্রাক্কালে প্রদত্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে নতুন কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সকল বাঙালীর দেশ। এদেশের সংখ্যালগু হিন্দুদের নিয়ে কোন দেশ খেলা করতে চাইলে আমরা সকল ধর্মের মানুষ একত্র হয়ে সমুচিত জবাব দিবো। কেননা যে যেই ধর্মেরই হোকনা কেন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্যের প্রশ্নে ১৯৭১ সালে আমরা যেমন এক ছিলাম তেমনি প্রয়োজন হলে আবার এক হবো। ঠিক তেমনি করে কারো সাথে কারো মতের পার্থক্য থাকলেও আজ থেকে এই মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষণ ও উন্নয়নের পক্ষে সকলে এক থাকলেই মন্দিরটির যথাযত উন্নয়ন করা সম্ভব হবে”।