সংবাদ প্রকাশের পর বিলকিস বেগমের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও ও প্রবাসী

স্টাফ রিপোর্টার: “স্বামী ও দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে বিলকিস বেগমের মানবের জীবন’’ এই শিরোনামে অনলাইন ও বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই প্রতিবন্ধী পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন ও ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী মোঃ আবুল কাশেম।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিলকিস বেগমের হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উজ্জামান। এসময় তিনি জানান, সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে এবং প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হলো। তাদেরকে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে এবং তিনজনের নামেই প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।

একইদিন বিকালে প্রবাসী আবুল কাশেমের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি গিয়ে ১০ হাজার টাকা পৌছে দেন সাংবাদিক মোঃ মামুন, জেএম.মমিন, মোঃ রিপন।

তাদের আর্থিক অনুদান পেয়ে হাঁসি ফুটেছে বিলকিছ বেগমের মুখে। এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, আমার ঘরে তিনজন প্রতিবন্ধী থাকার পরও আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের কষ্টের কথা তুলে ধরে খবর প্রকাশের পর ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা পেয়েছি। এতে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি। যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের চর চরগঙ্গাপুর গ্রামের তাজল ইসলামের স্ত্রী বিলকিছ বেগম। তাদের সংসারে ৫ সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে সুমাইয়া (৮) ও ছোট ছেলে মোঃ রিয়াজ (৭) জন্মগতভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এর পর গত ৬ বছর আগে তাজল ইসলামের ডান পায়ে টিউমার দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শে ধারদেনা করে অপারেশন করান। কিছুদিন পর ওই স্থানে পচন সৃষ্টি হয়। পূর্ণরায় ডাক্তারের কাছে গেলে পচন থেকে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর ফলে গত ৩ মাস আগে ডাক্তার তার পা কেটে ফেলে দেয়। তার চিকিৎসা করিয়ে জমানো অর্থ ব্যয় করে এখন নিঃস্ব হয়ে যায় পরিবারটি। অভাব অনটনের সংসারে কষ্ট সইতে না পেরে স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী সন্তানদের রেখে তাজল তার পৈত্রিক বাড়ী লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নে ভাইদের কাছে আশ্রায় নেন। তাই অনাহার অর্ধাহারে জীবন কাটছে তাদের।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।