জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন : মেজর হাফিজ

স্টাফ রিপোর্টার, লালমোহন ॥ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক ৬ বারের সংসদ সদস্য মোজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের নেতা শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেনা বাহিনীর নানা ধরনের দখল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি আমাদের রাজনৈতিক প্রধান হয়েছেন। তাই আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল মাইল ফলক। জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনাবাহিনীর অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের দখলবাজি এবং চাঁদাবাজিতে বিএনপির লোকজন জড়াবেন না। আওয়ামীলীগের লোকজন বিএনপিতে ঢুকে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। আপনার তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবেন। বৃহস্পতিবার সকালে লালমোহন উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা অডিটরিয়ামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর হাফিজ আরো বলেন, শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সততা ও নিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জয়প্রিয়। সে রাস্ট্র ক্ষমতায় থাকার পরও রাজনৈতিক কেউ কোনো তার ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি এখনো বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়।


লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চলনায় ও লালমোহন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তাহরাত হাফিজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট হাবিবুর রহমান বাচ্চু, লালমোহন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, সোহেল আজিজ শাহীন, শফিউল্যাহ হাওলাদার, লালমোহন পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক ছাদেক মিয়া ঝান্টু, সদস্য সচিব জাকির ইমরান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রেজাউর রহমান শাহীন, সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসানুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির হাওলাদার প্রমূখ। এর পূর্বে লালমোহন করিম রোডস্থ প্রধান কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে এ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে উপজেলা অডিটরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।